পহেলগামে ২৭ জনের প্রাণহানির সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা বাড়ছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, পাকিস্তান চীন ও তুরস্কের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা নিচ্ছে। তুরস্ক ছয়টি সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানে অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাঠিয়েছে, যা সৈন্য ও সরবরাহ পরিবহনে সক্ষম। চীন পাকিস্তানের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমানের জন্য পিএল-১৫ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করেছে, যার ২০০-৩০০ কিমি পাল্লা ও ম্যাক ৫ গতি ভারতের সীমান্তে হুমকি বাড়াচ্ছে। একজন বিশ্লেষক বলেন, “এই অস্ত্র পাকিস্তানের আকাশযুদ্ধের ক্ষমতা বাড়ালেও, ভারতের প্রযুক্তিগত শ্রেষ্ঠত্ব অটুট।”

ভারতীয় বিমানবাহিনীর রাফায়েল যুদ্ধবিমান, উল্কা ক্ষেপণাস্ত্র ও স্পেকট্রা ইলেকট্রনিক যুদ্ধব্যবস্থা পাকিস্তানের তুলনায় এগিয়ে। ভারতের সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও শক্তিশালী। তবে, পাকিস্তান চীন ও রাশিয়ার কাছে মধ্যস্থতা ও হামলার আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়েছে, যা ভারতের প্রতিশোধ এড়ানোর কৌশল বলে মনে হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সামরিক জোট দক্ষিণ এশিয়ায় সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ ভারতের কাশ্মীর নীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তবে, ভারতের কূটনৈতিক ও সামরিক প্রস্তুতি এই হুমকি মোকাবিলায় সক্ষম। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতা এখন এই উত্তেজনা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।