হামাস নিয়ে নেতানিয়াহুর মন্তব্যের জবাবে কাতারের তীব্র প্রতিক্রিয়া, বাড়ছে তিক্ততা

হামাস নিয়ে নেতানিয়াহুর মন্তব্যের জবাবে কাতারের তীব্র প্রতিক্রিয়া, বাড়ছে তিক্ততা

দোহা: গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টার মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর একটি মন্তব্য কাতার ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। শনিবার নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে জারি এক বিবৃতিতে বলা হয়, “কাতারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা সভ্যতার পক্ষে না হামাসের বর্বরতার পক্ষে।” এই বক্তব্যকে উস্কানিমূলক আখ্যা দিয়ে কাতার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজিদ আল-আনসারি এক্স-এ লিখেছেন, “নেতানিয়াহুর বক্তব্য রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্বের ন্যূনতম মান থেকে অনেক দূরে।” এই বাকযুদ্ধ দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

কাতার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের সঙ্গে মিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দী মুক্তির আলোচনায় মধ্যস্থতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে, ইসরায়েল ও হামাস উভয়েই তাদের মূল দাবিতে অনড় থাকায় আলোচনায় অগ্রগতি সীমিত। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তিতে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ তুলছে। এর ফলে গাজার মানবিক পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ সম্প্রতি বলেছেন, “যুদ্ধবিরতির কিছু অগ্রগতি হলেও যুদ্ধ শেষ করার চূড়ান্ত প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।”

গাজায় প্রায় ১৯ মাস ধরে চলা যুদ্ধে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। গত জানুয়ারিতে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর সাম্প্রতিক হামলায় শত শত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলের ত্রাণ সরবরাহে বিধিনিষেধের কারণে গাজার ২০ লক্ষ বাসিন্দা অনাহারের মুখে। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি ইসরায়েলের এই পদক্ষেপের নিন্দা করে মানবিক সাহায্যের প্রবেশাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। তবে, নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেছেন, “হামাস সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এবং সমস্ত বন্দী মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।” এই পরিস্থিতিতে কাতার-ইসরায়েল সম্পর্কের তিক্ততা যুদ্ধবিরতির প্রচেষ্টাকে আরও জটিল করে তুলছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *