IMO অ্যাপে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ, কিন্নর সেজে দিল্লিতে লুকিয়ে চার বাংলাদেশি

নয়াদিল্লি: দিল্লি পুলিশের নর্থ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্টের ফরেনার্স সেল একটি বড় অভিযানে আজাদপুর সবজি মান্ডি থেকে চারজন অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করেছে। তাদের কাছ থেকে দুটি স্মার্টফোন উদ্ধার হয়েছে, যেখানে নিষিদ্ধ IMO অ্যাপ ইনস্টল ছিল। এই অ্যাপের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করত। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছিল, এই ব্যক্তিরা কিন্নরের ছদ্মবেশে ট্রাফিক সিগন্যালে ভিক্ষা করছিল। পরিচয় গোপন করতে তারা হরমোন ইনজেকশন ও লিঙ্গ পরিবর্তন সার্জারি করিয়েছিল। ৩ মে ২০২৫-এ সকালে পুলিশ আজাদপুর মান্ডির কাছে ফাঁদ পেতে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। তারা হলেন—বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার চাসারা এলাকার মোহাম্মদ আরমান ওরফে ঈশা, মোহাম্মদ আরিফ ওরফে শিল্পা, মোহাম্মদ জাহিদ ওরফে মৌসম এবং টঙ বাজারের মোহাম্মদ বাবুল ওরফে পাখি। এই চারজনকে আর কে পুরমের এফআরআরও-তে হস্তান্তর করা হয়েছে, যেখানে তাদের প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত এখনও চলছে। নর্থ ওয়েস্ট ডিস্ট্রিক্টের ডিসিপি বিষ্ম সিং বলেন, “এই অভিযান অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আমাদের কঠোর অবস্থানের প্রমাণ।”
একই সঙ্গে, পূর্ব দিল্লি পুলিশ ছয়জন অবৈধ বাংলাদেশি মহিলাকে বিভিন্ন এলাকা থেকে হেফাজতে নিয়েছে। মান্ডাওয়ালি থানার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইন্সপেক্টর ভূপেশ কুমারের নেতৃত্বে একটি দল প্রথমে একজন মহিলাকে গ্রেফতার করে, পরে পাহাড়গঞ্জ থেকে আরও পাঁচজনকে ধরা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন মিম আক্তার (২৩), মিনা বেগম (৩৫), শেখ মুন্নি (৩৬), পায়েল শেখ (২৫), সোনিয়া আক্তার (৩৬) এবং তানিয়া খান (৩৪)। এই ঘটনা অবৈধ অভিবাসনের জটিল নেটওয়ার্কের দিকে ইঙ্গিত করে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাল নথি ও ছদ্মবেশের ব্যবহার অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে আরও কঠোর নজরদারির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।