হালালা প্রথায় নারীর অপমান, পুত্রবধূর যন্ত্রণার কাহিনী

হালালা প্রথায় নারীর অপমান, পুত্রবধূর যন্ত্রণার কাহিনী

এক মুসলিম নারীর জীবন হালালা প্রথার কারণে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ২০০৯ সালে বিয়ের পর সন্তান না হওয়ায় স্বামী তাকে তালাক দেন। হালালার শর্তে তাকে শ্বশুরকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়। তিনি বলেন, “আমাকে শ্বশুরের সঙ্গে রাত কাটাতে বাধ্য করা হয়; আমি তার সন্তানের মা হয়েছি।” কিন্তু শ্বশুরও তাকে তালাক দেন। স্বামী তাকে পুনরায় বিয়ে করলেও আবার তালাক দেন এবং এবার দেবরের সঙ্গে হালালার প্রস্তাব দেন। এই অমানবিক চক্রে তিনি ভেঙে পড়েন।

“প্রথমে শ্বশুরের স্ত্রী, এখন দেবরের? আমি কি কেবল ব্যবহারের জিনিস?”—তার এই কথা হালালা প্রথার নিষ্ঠুরতা তুলে ধরে। পরিবারের প্রতিবাদে হুমকির মুখে তিনি নিরুপায়। নারী অধিকার কর্মী ফাতিমা খান বলেন, “হালালা নারীর মর্যাদাকে পদদলিত করে; এটি একটি সামাজিক কলঙ্ক।” তিনি এই প্রথার অবসান দাবি করেন, যাতে অন্য নারীদের এই যন্ত্রণা না সহ্য করতে হয়।

এই ঘটনা হালালার মতো প্রথার অপব্যবহার ও নারীর প্রতি অবিচারের প্রশ্ন তুলেছে। সমাজে সংস্কার ও সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা এখন জরুরি। এই নারীর কাহিনী মানবাধিকার ও নারী মর্যাদার পক্ষে একটি শক্তিশালী আহ্বান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *