ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনায় এয়ার ইন্ডিয়ার তেল আবিব ফ্লাইট বাতিল, জানুন কারণ

নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এয়ার ইন্ডিয়া তেল আবিবের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়া-আসা সমস্ত ফ্লাইট ৬ মে ২০২৫ পর্যন্ত বাতিল করেছে। ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দ্বারা বিমানবন্দরে মিসাইল হামলার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে ছয়জন আহত হয়েছেন। হামলার সময় এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট এআই১৩৯, যা দিল্লি থেকে তেল আবিব যাচ্ছিল, তা আবু ধাবিতে ডাইভার্ট করা হয় এবং পরে দিল্লিতে ফিরিয়ে আনা হয়। “আমাদের যাত্রী ও ক্রুদের নিরাপত্তা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার,” বলে এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ইজরায়েল-ইরান উত্তেজনা এবং ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে চলমান সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটছে। এয়ার ইন্ডিয়া গত পাঁচ মাস ধরে তেল আবিবের ফ্লাইট বন্ধ রাখার পর ৩ মার্চ ২০২৫ থেকে পুনরায় চালু করেছিল। কিন্তু হুথিদের সাম্প্রতিক হামলা এবং ইজরায়েল-ইরান সংঘাতের নতুন তরঙ্গের কারণে ফ্লাইটগুলো আবার বাতিল করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া ৩ থেকে ৬ মে পর্যন্ত বৈধ টিকিটধারী যাত্রীদের জন্য এককালীন রিশিডিউলিং এবং ফুল রিফান্ডের সুবিধা ঘোষণা করেছে। “এই ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা যাত্রীদের পাশে থাকতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” বলেন এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র।
এদিকে, ইরানের আকাশসীমা এড়াতে এয়ার ইন্ডিয়া, কান্তাস এয়ারওয়েজ এবং লুফথানসার মতো বিমান সংস্থাগুলো বিকল্প রুট ব্যবহার করছে, যার ফলে লন্ডন বা পার্থের মতো গন্তব্যে ফ্লাইট সময় বেশি লাগছে। উদাহরণস্বরূপ, এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইটগুলো দীর্ঘ রুটে চলছে, আর পার্থ থেকে লন্ডনের ফ্লাইট সিঙ্গাপুর হয়ে যাচ্ছে। “এই বিকল্প রুটগুলো অপারেশন ধরে রাখতে সহায়ক, তবে যাত্রীদের সময় ও খরচের উপর প্রভাব পড়ছে,” বলেন বিমান বিশ্লেষক রাজীব সাক্সেনা। ইজরায়েল-ইরান, রাশিয়া-ইউক্রেন এবং ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল আরও জটিল হয়ে উঠেছে, যা বিমান সংস্থাগুলোর জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।