ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হলে পরমাণু বিপর্যয়, জমিয়ত নেতা মৌলানা মদনির সতর্কবাণী

নয়াদিল্লি: জমিয়ত উলেমা-এ-হিন্দ রবিবার (৪ মে) পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করেছে এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়ে সরকারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছে। সংগঠনের সভাপতি মৌলানা সৈয়দ অরশদ মাদনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনায় ভারত-পাকিস্তানের পরমাণু শক্তির প্রসঙ্গ তুলে বলেন, “দুই দেশই পরমাণু শক্তিসম্পন্ন। যুদ্ধ হলে বিপর্যয় অনিবার্য, ভারতের অর্থনীতি ধসে পড়বে। শান্তিপূর্ণ সমাধানই একমাত্র পথ।” তিনি পহেলগাম হামলার নিন্দা করে বলেন, “ইসলাম নিরপরাধী হত্যার অনুমতি দেয় না। এই অপরাধীদের কঠোর শাস্তি পাওয়া উচিত।”
মাদনি সরকারের নীতির সমালোচনা করে বলেন, “ঘৃণার রাজনীতি দেশের জন্য ক্ষতিকর। এই পথে চললে একদিন হিন্দু-মুসলিম সকলের জন্য বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।” তিনি অভিযোগ করেন, ইসলামকে সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িয়ে এর প্রসার রোধের চেষ্টা চলছে, যদিও “ইসলামই একমাত্র ধর্ম যার অনুসারীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।” পহেলগাম হামলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “হাজার হাজার পর্যটকের মাঝে কোনও পুলিশ বা সেনা ছিল না। গোলাগুলির শব্দ শোনা গেলেও দেড় ঘণ্টা কেউ পৌঁছায়নি। সরকারকে এই ব্যর্থতা এবং সন্ত্রাসীদের উৎস খুঁজে বের করতে হবে।”
বাংলাদেশিদের ধরপাকড় প্রসঙ্গে মাদনি বলেন, “অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিদের বের করে দেওয়া উচিত। তবে শুধু বাংলা ভাষার কারণে কাউকে বাংলাদেশি বলা অন্যায়, এটি আমরা সমর্থন করি না।” তাঁর এই বক্তব্য ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে শান্তি ও নিরপেক্ষ তদন্তের ওপর জোর দেয়। তিনি সরকারের নীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতির আহ্বান জানান।