ইসলামাবাদ: জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরপরাধ প্রাণ হারিয়েছেন, যার জেরে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ভারত এর জবাবে সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং অটারি সীমান্ত চেকপোস্ট বন্ধের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। এর প্রভাব ক্রীড়াক্ষেত্রেও পড়েছে। পাকিস্তান সুপার লিগের ভারতীয় সম্প্রচার বন্ধের পর এবার পাকিস্তানের হাতছাড়া হয়েছে সেন্ট্রাল এশিয়া ভলিবল অ্যাসোসিয়েশন (সিএভিএ) মেনস নেশনস লিগের আয়োজন। “এটি পাকিস্তানের ভলিবলের জন্য বড় ক্ষতি,” বলেন পাকিস্তান ভলিবল ফেডারেশনের (পিভিএফ) এক কর্মকর্তা।

মূলত ইসলামাবাদে ২৯ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কারণে ভারত টুর্নামেন্ট থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়, এবং অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়রাও নিরাপত্তার কারণে পাকিস্তানে খেলতে অনীহা প্রকাশ করে। ফলে সিএভিএ ২৫ এপ্রিল নেপালে তাদের বার্ষিক সাধারণ সভায় টুর্নামেন্টটি উজবেকিস্তানের তাসখন্দে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পিভিএফের সিনিয়র কর্মকর্তা চৌধুরী মোহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, “নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। আমরা সিএভিএ’র সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।” টুর্নামেন্টের তারিখ অপরিবর্তিত থাকলেও এই সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের ক্রীড়া সম্প্রদায়ের জন্য বড় ধাক্কা।

টুর্নামেন্টে পাকিস্তান, ইরান, তুর্কমেনিস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানের দল অংশ নেবে। উজবেকিস্তানে স্থানান্তরের পর ভারত তাদের দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ৬-৭ মে বেঙ্গালুরুতে নির্বাচনী ট্রায়ালের মাধ্যমে গঠিত হবে। তবে ভারত সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের পর এই টুর্নামেন্টে ভারতীয় দলের অংশগ্রহণের অনুমতি দেবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। “ক্রীড়া এবং রাজনীতি আলাদা রাখা উচিত, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি কঠিন,” বলেন একজন ক্রীড়া বিশ্লেষক। এই ঘটনা দক্ষিণ এশিয়ার ক্রীড়া আয়োজনে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রভাবকে আরও স্পষ্ট করেছে।