ইমরানের পিটিআই-এর সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান, ভারত-পাক তনাবে ব্রিফিং থেকে দূরে থাকার ঘোষণা

ইসলামাবাদ: জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগামে ২২ এপ্রিলের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতের কঠোর পদক্ষেপে পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফাটল ধরেছে। ভারত সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল এবং অটারি সীমান্ত বন্ধের মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। এর জবাবে পাকিস্তান সরকার রবিবার (৪ মে) সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের ভারত-পাক তনাব নিয়ে ব্রিফিং দেওয়ার ঘোষণা করেছে। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই ব্রিফিং বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা রাজনৈতিক ঐক্যের প্রচেষ্টাকে ধাক্কা দিয়েছে। পিটিআই বলেছে, “জাতীয় ঐক্য গড়ার জন্য সরকার কোনও আন্তরিক চেষ্টা করেনি।”
পাকিস্তানের সরকারি রেডিও এবং পিটিভি নিউজ জানিয়েছে, ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর)-এর মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী এবং তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার রবিবার সব দলের নেতাদের ভারত-পাক সম্পর্ক এবং “সাম্প্রতিক ঘটনার প্রভাব” নিয়ে ব্রিফিং দেবেন। এতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং সরকারের অফিসিয়াল অবস্থান তুলে ধরা হবে। কিন্তু পিটিআই এটিকে “একতরফা” বলে সমালোচনা করে বলেছে, সরকার ইমরান খানকে বাদ দিয়েছে এবং সর্বদলীয় সম্মেলনের পরিবর্তে মন্ত্রীর ব্রিফিংয়ের আয়োজন করেছে। দলটি সন্ত্রাসবাদের নিন্দা করে সব পক্ষকে নিয়ে সম্মিলিত কৌশল গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
এদিকে, তনাবের মধ্যে পাকিস্তান শনিবার ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার পরমাণু-সক্ষম আবদালি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে, যাকে ভারত “উস্কানিমূলক” বলেছে। সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ভারতের যেকোনো “দুঃসাহসের” বিরুদ্ধে “দ্রুত ও কঠোর” জবাবের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে গমের মজুদ বাড়ানো হচ্ছে, যা যুদ্ধের আশঙ্কাকে প্রকট করছে। পিটিআই-এর ব্রিফিং বয়কট রাজনৈতিক বিভক্তি স্পষ্ট করেছে, যা এই সংকটে পাকিস্তানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।