লুক্সেমবার্গের ইন্ডিয়ান বিজনেস চেম্বারের সভাপতি হিমাংশু উপাধ্যায় নয়ডার অভিজাত কলোনিতে থেকে ভারত ছাড়ার কারণ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় তুলেছেন। এক্স-এ তিনি লেখেন, “আমি নয়ডার তথাকথিত পশ কলোনিতে থাকতাম। অযোগ্য ও নৈতিকভাবে দেউলিয়া মানুষের কারণে ভারত ছাড়ি।” তিনি বিদ্যুৎ, জল, দূষণ ও প্রতিবেশীদের আচরণে দৈনন্দিন সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে বলেন, “সবাই রাগী, হতাশ, হত্যার জন্য প্রস্তুত। এমনকি শিক্ষিতরাও দুর্নীতিতে জড়িত।”

উপাধ্যায় বলেন, “আমার সন্তানদের এমন নরকে বড় করতে চাইনি।” তিনি ভারতের সামাজিক কাঠামোর ‘প্রজন্মগত সংস্কারের’ প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তবে তার পোস্ট মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। একজন লেখেন, “নয়ডায় থাকি, কোনো সমস্যা নেই। দুর্নীতি আছে, কিন্তু গরিবরা কী করবে?” উপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “শ্রীলঙ্কা বা নেপালে গেলে পার্থক্য বুঝবেন। ভারতের ধনীরাই সবচেয়ে খারাপ।” আরেকজন মন্তব্য করেন, “জীবনে কাঁটা থাকবেই, তা মেনে নিয়ে আনন্দে থাকি।”

এই বিতর্ক ভারতের শহুরে জীবনযাত্রার চ্যালেঞ্জ ও নৈতিক মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। উপাধ্যায়ের অভিজ্ঞতা অনেকের জন্য বাস্তব হলেও, অন্যরা এটিকে বাড়াবাড়ি মনে করেন। এটি শহরের উন্নয়ন ও সামাজিক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

I lived in a so called posh colony in Noida. The only reason I left India was the incompetent and morally bankrupt people around me.

There wasn’t a day that I didn’t struggle with basic things, not only outside of the house but also indoors. Electricity, water, pollution,… https://t.co/olyl6IZ8iE

— Hims 🪷 🚴 🌱 🧘 (@maveinlux) May 3, 2025