ঝাও জিনতং-এর ঐতিহাসিক জয়, নিষেধাজ্ঞার পর চীনের প্রথম স্নুকার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন

ঝাও জিনতং ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপে চীনের প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েছেন। শেফিল্ডের ক্রুসিবল থিয়েটারে ফাইনালে ৫০ বছর বয়সী মার্ক উইলিয়ামসকে ১৮-১২ ফ্রেমে পরাজিত করে এই ২৮ বছর বয়সী তারকা অপেশাদার হিসেবে অসাধারণ জয় ছিনিয়ে নেন। সেমিফাইনালে সাতবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন রনি ও’সালিভানকে ১৭-৭ ফ্রেমে হারিয়ে তিনি ফাইনালে উঠেন। প্রথম সেশনে ৭-১ এগিয়ে যাওয়া ঝাও উইলিয়ামসের প্রতিরোধ সত্ত্বেও তৃতীয় সেশনে ১৭-৮ ফ্রেমে এগিয়ে গিয়ে জয় নিশ্চিত করেন। “আমি বিশ্বাস করতে পারছি না এত তাড়াতাড়ি বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছি,” জয়ের পর উচ্ছ্বসিত ঝাও বলেন।
ঝাও’র গল্প শুধু জয়ের নয়, প্রত্যাবর্তনেরও। ২০২১ সালে ইউকে চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে তিনি বিশ্বে নবম স্থানে উঠেছিলেন, কিন্তু ২০২৩ সালে ম্যাচ-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর জন্য ২০ মাসের নিষেধাজ্ঞা পান। তিনি নিজে ম্যাচ ফিক্সিং না করলেও, অন্যের ফিক্সিং সম্পর্কে জানা এবং বাজি ধরার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। নিষেধাজ্ঞা শেষে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে অপেশাদার কিউ ট্যুরে ফিরে তিনি টানা চারটি ইভেন্ট জিতে পেশাদার ট্যুরে ফেরার টিকিট পান। শন মার্ফি বলেন, “ঝাও শাস্তি ভোগ করেছে এবং এখন নিজেকে প্রমাণ করছে।”
ক্রুসিবলে ঝাও’র পথচলা ছিল অবিশ্বাস্য। চারটি কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে ১২টি সেঞ্চুরি ব্রেক করে তিনি প্রথম রাউন্ডে জ্যাক জোন্স, তারপর লেই পেইফান ও ক্রিস ওয়াকেলিনকে হারান। তার আক্রমণাত্মক খেলার ধরন, দুর্দান্ত লং পটিং এবং কিউ নিয়ন্ত্রণ তাকে জিমি হোয়াইটের সঙ্গে তুলনা এনে দিয়েছে। “এই জয় চীনের স্নুকারের জন্য একটি বড় মুহূর্ত,” বলেন ডব্লিউপিবিএসএ চেয়ারম্যান জেসন ফার্গুসন। ঝাও’র এই জয় চীনে স্নুকারের জনপ্রিয়তা বাড়াবে এবং তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।