‘পাকিস্তানি, কাশ্মীর থেকে এসেছিস’—লাতুরে অপমান ও হামলায় যুবকের আত্মহত্যা

মহারাষ্ট্রের লাতুর জেলার এমআইডিসি থানা এলাকায় এক মর্মান্তিক ঘটনায় মুসলিম যুবক আসিফ পটেল জাতিগত অপমান ও শারীরিক হামলার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন। অভিযুক্ত এক চারচাকার চালক তাকে “পাকিস্তানি” ও “কাশ্মীর থেকে আগত” বলে কটূক্তি করে, তার প্যান্ট খুলে প্রাইভেট পার্টে হামলা করে এবং ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এই অপমান ও মানসিক আঘাত সহ্য করতে না পেরে আসিফ বাড়ি ফিরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ জাগিয়েছে, যারা এটিকে জাতিবাদ ও সামাজিক আসামতার গুরুতর সমস্যা হিসেবে দেখছে।
ঘটনার সময় আসিফ তার স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে বাইকে ছিলেন। একটি চারচাকার গাড়ির চালকের সঙ্গে পথ ছাড়া নিয়ে বাদানুবাদ শুরু হয়, যা দ্রুত সহিংস রূপ নেয়। অভিযুক্ত চালক ধর্মীয় কটূক্তি করে আসিফকে গালিগালাজ ও মারধর করে। আসিফের স্ত্রী অভিযোগ করেন, “চালক আমার স্বামীর প্যান্ট খুলে তার প্রাইভেট পার্টে হামলা করেছে এবং ভিডিও করে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।” এই অসহনীয় অপমানের পর আসিফ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। “এমন নির্মমতা কেউ সহ্য করতে পারে না,” বলেন স্থানীয় বাসিন্দা রহিম শেখ।
আসিফের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এমআইডিসি থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। “আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা চাই,” বলেন আসিফের স্ত্রী। এই ঘটনা সমাজে বিদ্বেষমূলক আচরণের বিপদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি জাতিগত সহনশীলতা ও সামাজিক ন্যায়ের প্রয়োজনীয়তার ইঙ্গিত দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি শীঘ্রই জানানো হবে।