একাকী নারীর ৬০ কোটির সম্পত্তি উত্তরাধিকারের ফাঁদ, সাইবার স্ক্যামের হুঁশিয়ারি

একাকী নারীর ৬০ কোটির সম্পত্তি উত্তরাধিকারের ফাঁদ, সাইবার স্ক্যামের হুঁশিয়ারি

“ডাক্তার বলেছেন, আমার বাঁচার জন্য মাত্র এক মাস বাকি। আমি এই যাত্রা একা কাটাতে চাই এবং শান্তিতে এই পৃথিবী ছাড়তে চাই। আমার কোনো সন্তান নেই, শুধু একটাই আক্ষেপ যে তোমার সঙ্গে জীবন কাটাতে পারিনি। তুমি আমার প্রথম ভালোবাসা, সবসময় হৃদয়ে থাকবে। আমি আমার ৬০ কোটি টাকার সম্পত্তি তোমার জন্য রেখে যাচ্ছি…” এমন মেসেজ কি আপনার কাছেও এসেছে? যদি এসে থাকে, তবে সতর্ক হয়ে যান। এটি সাইবার প্রতারকদের একটি চাল, যার মাধ্যমে আপনি আর্থিক এবং ব্যক্তিগত ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।

এই স্ক্যামগুলি সাধারণত একটি লিঙ্কের মাধ্যমে শুরু হয়, যা আপনাকে একটি জাল ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। সেখানে আপনার নাম, মোবাইল নম্বর, ব্যাঙ্কের বিবরণ বা ওটিপি চাওয়া হয়। তথ্য দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতারকরা আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছু ক্ষেত্রে, মেসেজে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়, যা আপনার ফোন হ্যাক করতে পারে। “এই ধরনের প্রতারণা মানুষের আবেগকে কাজে লাগায়,” বলেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রাকেশ সিং। এই মেসেজগুলি প্রায়ই ব্যক্তিগত স্পর্শ দিয়ে তৈরি করা হয়, যাতে আপনি এটি সত্যি বলে ভুল করেন।

https://images.tv9hindi.com/wp-content/uploads/2025/05/instagram-fake-message.jpg

নিরাপদ থাকতে, এই ধরনের মেসেজ উপেক্ষা করুন। অজানা নম্বর থেকে আসা “রাতারাতি ধনী হওয়ার” প্রতিশ্রুতি স্ক্যাম ছাড়া কিছুই নয়। কখনো ওটিপি, পাসওয়ার্ড বা ব্যাঙ্কের তথ্য শেয়ার করবেন না। লিঙ্কে ক্লিক করার আগে তার উৎস যাচাই করুন। শুধুমাত্র সরকারি বা বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট থেকে তথ্য নিন। ফোনে অ্যান্টিভাইরাস রাখুন এবং শুধু গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করুন। যদি প্রতারণার শিকার হন, তবে তাৎক্ষণিকভাবে www.cybercrime.gov.in-এ রিপোর্ট করুন বা ১৯৩০ নম্বরে কল করুন।

এই স্ক্যামগুলি আবেগপ্রবণ এবং আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সাইবার অপরাধীরা প্রযুক্তির অপব্যবহার করে এই জালিয়াতি ছড়াচ্ছে। সতর্ক থাকুন, অন্যদেরও সচেতন করুন এবং মনে রাখবেন, কেউ অকারণে কোটি টাকা দান করে না। আপনার আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বদা যাচাই-বাছাই করে পদক্ষেপ নিন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *