ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে দুঃসংবাদ, গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়তে পারে

পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে উত্তেজনা তুঙ্গে। যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যে সাধারণ মানুষের জন্য এসেছে দুঃসংবাদ। আগামী দিনে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে তেল কো ম্পা নিগুলির আর্থিক ঘাটতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি প্রধান কারণ। বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
২০২৬ আর্থিক বছরে তেল কো ম্পা নিগুলি রান্নার গ্যাস (এলপিজি) বিক্রিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হবে। পূর্বে এই ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৪০ হাজার কোটি টাকা, কিন্তু সম্প্রতি সরকার সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা বাড়ানোয় ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা কমেছে। তবে, সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) দাম বৃদ্ধির কারণে কো ম্পা নিগুলির উপর চাপ বাড়ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৩ আর্থিক বছরে সৌদি সিপি গড় মূল্য প্রতি মেট্রিক টন ৪১৫ ডলার থেকে বেড়ে ৭১২ ডলার হয়েছে। এই বৃদ্ধির প্রভাব এখনও গ্রাহকদের উপর পড়েনি, কিন্তু তা অচিরেই প্রতিফলিত হতে পারে।
সরকার তেল কো ম্পা নিগুলির ক্ষতি পূরণের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সরকারের অতিরিক্ত তহবিলের প্রয়োজন হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে তেল কো ম্পা নিগুলির জন্য সরকারি সাহায্য বন্ধ হলে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে ক্ষতি পূরণের ভার জনগণের উপর পড়তে পারে। একজন তেল কো ম্পা নির কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি এবং কো ম্পা নির ক্ষতির কারণে মূল্যবৃদ্ধি এড়ানো কঠিন।”
এই সম্ভাব্য মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির উপর এর প্রভাব বেশি পড়বে। অর্থনীতিবিদ রাহুল শর্মা বলেন, “যুদ্ধের আশঙ্কা এবং আন্তর্জাতিক বাজারের অস্থিরতা ভারতের অর্থনীতিতে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। সরকারকে ভর্তুকি বাড়িয়ে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়া উচিত।” আগামী কয়েক সপ্তাহে সরকারের সিদ্ধান্ত এবং ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের গতিপথ এই পরিস্থিতির দিক নির্ধারণ করবে।