ভারতের মক ড্রিল ও ব্ল্যাকআউট: ভাইরাল বার্তার আসল সত্য কী?

ভারতের মক ড্রিল ও ব্ল্যাকআউট: ভাইরাল বার্তার আসল সত্য কী?

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৭ মে, ২০২৫-এ ২৪৪টি জেলায় মক ড্রিল ও ব্ল্যাকআউট অনুশীলনের নির্দেশ দিয়েছে। এই ড্রিলের উদ্দেশ ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এটিই প্রথম এমন বড় মাপের নাগরিক প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ। তবে, এই ড্রিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভাইরাল বার্তা জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বার্তায় বলা হচ্ছে, ২৫ দিনের খাদ্য, জল, টর্চ, ব্যাটারি, নগদ টাকা মজুত রাখতে, এমনকি আক্রমণের সময় নিরাপদ কক্ষে লুকিয়ে থাকতে।

তদন্তে জানা গেছে, এই বার্তা সম্পূর্ণ গুজব। সরকারি সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে, মক ড্রিলটি জনসাধারণকে জরুরি পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করার একটি অনুশীলন, যার মধ্যে রয়েছে এয়ার রেইড সাইরেন পরীক্ষা, ব্ল্যাকআউট সিমুলেশন এবং নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রশিক্ষণ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “এটি কোনো যুদ্ধের ইঙ্গিত নয়, বরং নাগরিক প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির অংশ।” খাদ্য বা জল মজুতের কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে, জরুরি কিটে মৌলিক সামগ্রী যেমন টর্চ, ওষুধ বা জল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এই গুজব ছড়ানোর ফলে অনেকে আতঙ্কিত হয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন বার্তা জনমনে ভয় তৈরি করতে পারে, তাই সরকারি ঘোষণার উপর নির্ভর করা উচিত। ফেরোজপুরে ইতিমধ্যে ৩০ মিনিটের ব্ল্যাকআউট ড্রিল সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র গুরজন্ত সিং বলেন, “ড্রিলের সময় সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল, যানবাহনের আলোও বন্ধ করা হয়েছিল।” নাগরিকদের শান্ত থাকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *