মোদী-স্টারমারের ফোনালাপে চূড়ান্ত ভারত-ইউকে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি

ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অবশেষে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ফোনালাপের পর এই চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। এছাড়া, ডাবল কন্ট্রিবিউশন কনভেনশন নামে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। এই দুটি চুক্তি দুই দেশের ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘এক্স’-এ লিখেছেন, “এই ঐতিহাসিক চুক্তি ব্যবসা, বিনিয়োগ, উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান ও সমৃদ্ধির জন্য নতুন দিশা দেবে।” তিনি স্টারমারের শীঘ্রই ভারত সফরের আশাও প্রকাশ করেছেন।
এই এফটিএ পণ্য ও পরিষেবার বাণিজ্যে ভারসাম্য ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করবে। এর লক্ষ্য দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি, বিশ্ব বাজারের জন্য যৌথভাবে পণ্য ও পরিষেবা উন্নয়ন এবং উভয় দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। চুক্তির ফলে বাণিজ্য বাধা হ্রাস পাবে এবং কো ম্পা নিগুলো নতুন সুযোগ পাবে। ব্রিটিশ স্কচ হুইস্কি, প্রসাধনী, চিকিৎসা সামগ্রী, গাড়ি ও বিমানের যন্ত্রাংশের উপর ভারতের আমদানি শুল্ক কমবে, যেখানে হুইস্কি ও জিনের শুল্ক ১৫০% থেকে ৭৫%-এ এবং ১০ বছরে ৪০%-এ নামবে। ব্রিটেনের মতে, এই চুক্তি দীর্ঘমেয়াদে বছরে ২৫.৫ বিলিয়ন পাউন্ড (৩৪ বিলিয়ন ডলার) বাণিজ্য বৃদ্ধি করবে।
ডাবল কন্ট্রিবিউশন কনভেনশন ব্রিটেনে কর্মরত ভারতীয় পেশাদারদের সামাজিক নিরাপত্তা ও কর সুবিধা প্রদান করবে। এটি প্রবাসী শ্রমিক ও উদ্যোক্তাদের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে আসবে এবং ব্রিটিশ কো ম্পা নিগুলোর জন্য ভারতে বিনিয়োগ আরও আকর্ষণীয় হবে। মোদী ও স্টারমার উভয়েই সম্মত হয়েছেন যে, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের প্রসার এই অংশীদারিত্বের মূল ভিত্তি। এই চুক্তি দুই দেশকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে নতুন পণ্য ও পরিষেবা উন্নয়নে উৎসাহিত করবে, যা বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে তাদের অংশগ্রহণ বাড়াবে।