জবলপুরের ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি, ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিং ইনস্টিটিউট (আইআইআইটিডিএম)-এর সরস্বতী হোস্টেলে একটি গুরুতর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এক বিটেক ছাত্রী, হিমশ্রী বিনোদ সাহরে, মহারাষ্ট্রের গোন্দিয়ার বাসিন্দা, অভিযোগের মুখে পড়েছেন যে তিনি গত দুই বছর ধরে সিনিয়র ছাত্রীদের বাথরুমে গোপনে ভিডিও ধারণ করছিলেন। রবিবার এক সিনিয়র ছাত্রী তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলায় এই কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়। পুলিশ তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ জব্দ করেছে, যেখানে বেশ কিছু নগ্ন ও আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। ছাত্রী স্বীকার করেছেন, তিনি এই ভিডিও দিল্লির প্রেমিক আদিত্য শর্মার কাছে পাঠাতেন। পুলিশ সন্দেহ করছে, এই ভিডিওগুলো ইন্টারনেটে কোনো ওয়েবসাইট বা গ্রুপেও শেয়ার হতে পারে।

জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রী জানিয়েছেন, তার প্রেমিক তাকে ভিডিও ধারণে বাধ্য করতেন এবং না করলে সম্পর্ক ছিন্নের হুমকি দিতেন। তিনি প্রায়ই দিল্লি গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতেন। পুলিশ তদন্ত করছে এটি ব্যক্তিগত ঘটনা, না কোনো বড় র‌্যাকেট বা পর্নোগ্রাফি নেটওয়ার্কের অংশ কিনা। সাইবার বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় ভিডিওগুলোর উৎস ও শেয়ারিংয়ের বিষয়ে তদন্ত চলছে। ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত নির্দেশক অপরজিতা ওঝা জানিয়েছেন, ঘটনার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ছাত্রীকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং তার পরিবারকে জানানো হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সূর্যকান্ত শর্মা জানান, এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল মামলা। ছাত্রীর মোবাইলে অন্য ছাত্রীদের সঙ্গে তার নিজেরও কিছু আপত্তিকর ভিডিও পাওয়া গেছে। একটি বিশেষ দল দিল্লি পাঠানো হয়েছে প্রেমিককে গ্রেপ্তারের জন্য। মামলায় ছাত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধারায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এই ঘটনা ছাত্রীদের গোপনীয়তা লঙ্ঘনের পাশাপাশি ডিজিটাল অপরাধের গুরুতর উদাহরণ। এটি হোস্টেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ছাত্রীদের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে।