পাকিস্তানের অন্ধকার চিত্র ফাঁস, সহবাই বললেন ‘বাংলাদেশের থেকেও খারাপ অবস্থা’

পাকিস্তানের গণতন্ত্র, শাসনব্যবস্থা ও যোগ্যতার ক্রমশ অবনতি এখন আর কারও অজানা নয়। তবে এবার দেশটির কঠিন বাস্তবতা উন্মোচন করেছেন স্বয়ং পাকিস্তানের প্রবীণ সাংবাদিক শাহিন সহবাই। ৫০ বছরের স্বাধীন সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সহবাই এক্স-এ একটি তীক্ষ্ণ পোস্টে পাকিস্তানের তুলনা করেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে। তিনি ফাঁস করেছেন, কীভাবে পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থা এখন ‘নীচ মানসিকতার’ লোকদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে। এই পোস্ট কেবল পাকিস্তানের রাজনৈতিক সত্যই উন্মোচন করেনি, বরং ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলো কেন অনেক এগিয়ে গেছে, তাও স্পষ্ট করেছে। “পাকিস্তানের শাসন এখন সুপারিশ, আত্মীয়তা আর সামরিক প্রভাবের হাতে,” বলেছেন সহবাই।
সহবাই বাংলাদেশের বর্তমান শাসনের প্রশংসা করে বলেন, সেখানকার সরকারে নোবেল বিজয়ী, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ ও আমেরিকার পিএইচডি-ধারী বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বে রয়েছেন শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা। অন্যদিকে, পাকিস্তানের শাসনব্যবস্থায় ভাই, ভাগ্নে, কন্যা বা শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাপট। এই পার্থক্য বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং পাকিস্তানের পশ্চাদপসরণের চিত্র তুলে ধরে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশ আজ অর্থনীতি, শিক্ষা ও প্রশাসনিক গুণমানে অনেক এগিয়ে গেছে, যখন পাকিস্তান রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামরিক আধিপত্য ও দুর্নীতির জালে আটকে পড়েছে।
ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে এই উন্মোচন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদ, সীমান্ত লঙ্ঘন ও রাজনৈতিক অভিযোগের মাধ্যমে ভারতকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সহবাইয়ের মন্তব্যে স্পষ্ট, পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ দুর্বলতাই এখন তার প্রধান শত্রু। ভারত ডিজিটাল ইন্ডিয়া, স্টার্টআপ ইন্ডিয়া ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করে বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্ব দিচ্ছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান আইএমএফ-নির্ভর অর্থনীতি, ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ও আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার সঙ্গে লড়ছে। সামাজিক মাধ্যমে সহবাইয়ের এই পোস্ট ব্যাপক আলোচিত, অনেকে বলছেন, “পাকিস্তান নিজেই নিজের ভবিষ্যতের শত্রু হয়ে উঠেছে।”