মুল্লাপেরিয়ার সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার (৬ মে, ২০২৫) জানিয়েছে, ১২৫ বছরের পুরোনো মুল্লাপেরিয়ার বাঁধ নিয়ে তামিলনাড়ু ও কেরালার মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ সমাধানে রাজনীতিবিদদের বদলে বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজন। বিচারপতি সূর্য কান্তের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চের সদস্য বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “তামিলনাড়ু ও কেরালার মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী সম্মানিত ব্যক্তি হলেও এই ক্ষেত্রে তাঁদের গভীর জ্ঞান নাও থাকতে পারে। তাই আমরা বিশেষজ্ঞদের চাই। আমাদের উদ্দেশ্য বাঁধের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা।” এই মন্তব্য কেরালার বাসিন্দাদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী ম্যাথুস জে. নেদুমপারার প্রস্তাবের জবাবে আসে, যিনি মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
কেরালার পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়দীপ গুপ্ত জানান, রাজ্য মুল্লাপেরিয়ার মতো পুরোনো বাঁধের পুনর্মূল্যায়ন ও পুনর্নির্মাণ চায়। তিনি অভিযোগ করেন, তামিলনাড়ু মেরামতের নামে বাঁধের জলের উচ্চতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, যা কেরালার জন্য বিপদজনক। ২০২১ সালে কেরালা সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিল, জলবায়ু পরিবর্তন, অনিয়মিত ভারী বৃষ্টি ও বন্যার কারণে বাঁধটি বিপর্যয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে। তামিলনাড়ুর পক্ষে সিনিয়র অ্যাডভোকেট শেখর নাফাডে বলেন, বাঁধটি তামিলনাড়ুর মালিকানাধীন হলেও কেরালায় অবস্থিত, এবং গত ১৯ বছর ধরে কেরালা মেরামত, রাস্তা নির্মাণ ও ১৫টি গাছ কাটার অনুমতি বাধাগ্রস্ত করছে।
বিচারপতি দত্ত সতর্ক করে বলেন, “আপনারা বিপর্যয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবে নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষ।” কোর্ট উল্লেখ করে, ২০২১ সালের বাঁধ নিরাপত্তা আইনের অধীনে কেন্দ্রের গঠিত তত্ত্বাবধায়ক কমিটির সুপারিশকে তামিলনাড়ু ও কেরালা গুরুত্ব দেয়নি। অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্যা ভাটি জানান, কমিটির কোনো সুপারিশ এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। কোর্ট উভয় রাজ্যকে কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়ে বাধার সম্মুখীন হলে আদালতে ফিরে আসার অনুমতি দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি ১৯ মে নির্ধারিত হয়েছে।