পাহালগাম হামলার পর ভারতের জবাব: পাকিস্তানে হামলা, দেশে মক ড্রিল

পাহালগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, এই হামলার জবাব কঠোরভাবে দেওয়া হবে। এরই মধ্যে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর আওতায় পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনা হামলা চালিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে বুধবার (৭ মে, ২০২৫) দেশের ২৯৫টি স্থানে হাওয়াই হামলা প্রতিরোধের মক ড্রিলের আয়োজন করেছে। গৃহ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এই ড্রিল জরুরি পরিস্থিতিতে নাগরিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
মক ড্রিলে সাইরেন পরীক্ষা, ব্ল্যাকআউট ব্যবস্থাপনা, এবং সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনার মহড়া অন্তর্ভুক্ত থাকবে। গৃহ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “এই ড্রিলের উদ্দেশ্য জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সম্ভাব্য হুমকির মোকাবিলার ক্ষমতা বাড়ানো।” এই ধরনের বড় মাপের মক ড্রিল সর্বশেষ ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ড্রিলে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, এনসিসি, এনএসএস, এবং স্থানীয় প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবকরা অংশ নেবেন। এছাড়া, ভারতীয় বিমানবাহিনীর সঙ্গে হটলাইন যোগাযোগ এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হবে।
পাহালগাম হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানির পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আমরা হামলাকারীদের পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে খুঁজে বের করে শাস্তি দেব।” পাকিস্তান এর জবাবে “তীব্র প্রতিক্রিয়া”র হুমকি দিয়েছে। এই ড্রিল নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্ক নয়, বরং প্রস্তুতির বার্তা দিতে চায়। স্থানীয় বাসিন্দা রমেশ কুমার বলেন, “এই প্রশিক্ষণ আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।” মক ড্রিলের মাধ্যমে ভারত যুদ্ধের সম্ভাবনা নয়, নিরাপত্তার প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করছে।