পহেলগামে ২২ এপ্রিলের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ৬ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে এয়ার স্ট্রাইক চালিয়েছে। এই হামলার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা তীব্র হয়েছে, যার ছায়া পড়ছে আইপিএল ২০২৫-এর উপর। বর্তমানে চলমান এই টি-টোয়েন্টি লিগ তার শেষ পর্যায়ে রয়েছে, কিন্তু ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। হামলার সময় মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আইপিএলের ৫৬তম ম্যাচে গুজরাট টাইটান্স মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৩ উইকেটে হারিয়েছিল। কিন্তু ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই ভারতের স্ট্রাইক যুদ্ধের আশঙ্কাকে ত্বরান্বিত করেছে।

যদি এই আশঙ্কা বাস্তবে রূপ নেয়, তাহলে আইপিএল বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিসিসিআই এবং আইপিএল কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। আইপিএল চেয়ারম্যান অরুণ ধুমাল ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, “দেশের স্বার্থ সবার আগে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পদক্ষেপ নেব।” তবে, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, এবং আইপিএল ম্যাচগুলি নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলবে। ৭ মে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে কেকেআর বনাম সিএসকে ম্যাচের কোনো পরিবর্তনের খবর নেই।

আইপিএল ২০২৫-এ ভারতীয় ও বিদেশি তারকা ক্রিকেটাররা অংশ নিচ্ছেন। বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে উদ্বেগ থাকলেও, ভারতীয় খেলোয়াড়দের জন্য এটি নিজস্ব মাটি। টুর্নামেন্ট ২৫ মে ফাইনালের মাধ্যমে শেষ হবে, যেখানে শীর্ষ চারটি দল প্লে-অফে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। “আইপিএল ভারতের শক্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতীক,” বলেছেন এক বিসিসিআই কর্মকর্তা। তবে, যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হলে জাতীয় নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাবে, এবং আইপিএল স্থগিত বা বাতিল হতে পারে।