উত্তরাখণ্ডের হেমকুন্ড সাহেবে বরফের চ্যালেঞ্জ, সেনা ও সেবাদারদের অভিযান

উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় অবস্থিত হেমকুন্ড সাহেবে তীর্থযাত্রার প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাজ্যের চার ধামের কপাট খোলার পর এখন হেমকুন্ড সাহেব এবং লোকপাল লক্ষ্মণ মন্দিরের কপাট খোলার অপেক্ষায় তীর্থযাত্রীরা। তবে, ঘাংঘরিয়া বেস ক্যাম্প থেকে অটলাকোটি হয়ে হেমকুন্ড পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পথ এখনো বরফে ঢাকা। গুরুদ্বারা প্রাঙ্গণে ৭ ফুটের বেশি বরফ জমে রয়েছে, আর সরোবর ও লক্ষ্মণ মন্দিরও বরফের চাদরে মোড়া। এই বরফ সরাতে ভারতীয় সেনা এবং ১২ জন সেবাদার নিরলস কাজ করে চলেছেন।
বরফ সরানোর কাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে পরিবর্তনশীল আবহাওয়া। অটলাকোটিতে ২০০ মিটার লম্বা এবং ১৫ ফুট উঁচু হিমবাহ কাটা সেনার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। সেনার ২২ জন জওয়ান এবং অফিসার দুটি দলে বিভক্ত হয়ে কাজ করছেন। একটি দল গুরুদ্বারা এবং লক্ষ্মণ মন্দির থেকে বরফ সরাচ্ছে, অন্য দল হেমকুন্ড থেকে অটলাকোটি পর্যন্ত পথ পরিষ্কার করছে। ইতিমধ্যে হেমকুন্ডের ১ কিলোমিটার দীর্ঘ শর্টকাট পথের সিঁড়ি থেকে বরফ সরানো হয়েছে। “আমরা তীর্থযাত্রীদের জন্য পথ নিরাপদ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,” বলেছেন সেনার এক অফিসার।
২০ এপ্রিল থেকে ১২ জন সেবাদার বরফ সরানোর কাজে সেনার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন। গুরুদ্বারার প্রথম তলা এবং সরোবর পরিষ্কার করা এখনো বাকি। গত বছর ৫ লক্ষের বেশি তীর্থযাত্রী হেমকুন্ড দর্শন করেছিলেন, এবং এবারও বড় ভিড় প্রত্যাশিত। আবহাওয়ার প্রতিকূলতা সত্ত্বেও সেনার এই প্রচেষ্টা তীর্থযাত্রীদের জন্য আশার আলো জাগিয়েছে। “এই কাজ শুধু শারীরিক নয়, আধ্যাত্মিক দায়িত্বও,” বলেছেন এক সেবাদার। হেমকুন্ডের কপাট খোলার দিনক্ষণ শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে গুরুদ্বারা কমিটি।