পাকিস্তানে হামলার পর ভারত সতর্ক-মক ড্রিলে কী খোলা, কী বন্ধ?

৬ মে মধ্যরাতে ভারতীয় বিমান বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানে ৯টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নির্ভুল এয়ার স্ট্রাইক চালিয়ে ১০০-র বেশি সন্ত্রাসীকে নিহত করেছে। এই হামলা শুধুমাত্র সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ ছিল, পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে কোনো ক্ষতি হয়নি। এরপরই ৭ মে ভারতের ৩০০টি স্থানে মক ড্রিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, যা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। স্কুল, ব্যাঙ্ক, অফিস বন্ধ থাকবে কি? এয়ারলাইনগুলো কী বলছে? সাধারণ মানুষের প্রস্তুতি কী হবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখন জরুরি।
মক ড্রিলের উদ্দেশ্য হলো যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নিরাপত্তা ও উদ্ধার পরিকল্পনার কার্যকারিতা যাচাই করা। “এটি আমাদের প্রস্তুতি শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ,” বলেছেন গৃহ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। তবে, এই ড্রিলের কারণে উত্তর ভারতের বিমান চলাচলে প্রভাব পড়েছে। ইন্ডিগো, স্পাইসজেট ও এয়ার ইন্ডিয়া ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি জারি করে শ্রীনগর, জম্মু, আমৃৎসর, লে, চণ্ডীগড়, ধর্মশালা, বিদ্যানগর, জোধপুর, ভুজ, জামনগর ও রাজকোটের ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বের কথা জানিয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া ৭ মে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই রুটের সব ফ্লাইট বাতিল করেছে। যাত্রীদের ফ্লাইটের অবস্থা যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে, কোনো অ্যাডভাইজরি জারি হয়নি। ব্যাঙ্ক, শেয়ার বাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকবে। স্কুলগুলোর ক্ষেত্রে কোনো ছুটির ঘোষণা নেই, তবে অভিভাবকদের স্কুল প্রশাসনের আপডেটের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। জনমনে খাদ্য ও নগদ সংগ্রহের আতঙ্ক ছড়ালেও সরকার স্পষ্ট করেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। “অযথা আতঙ্কিত হবেন না, শুধুমাত্র সরকারি তথ্যের উপর ভরসা করুন,” বলেছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক রাকেশ শর্মা। এই মক ড্রিল জাতীয় নিরাপত্তা জোরদার করলেও, উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবের মতো সীমান্তবর্তী এলাকায় সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।