বিনা অনুমতিতে ১৭টি আম গাছ কাটায় বিজনৌরে ২.৬৬ কোটি টাকার জরিমানা

বিনা অনুমতিতে ১৭টি আম গাছ কাটায় বিজনৌরে ২.৬৬ কোটি টাকার জরিমানা

বিজনৌর, ৭ মে: উত্তর প্রদেশের বিজনৌরে বিনা অনুমতিতে ১৭টি আম গাছ (Mango Trees) কাটার ঘটনায় পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে ২.৬৬ কোটি টাকার পরিবেশগত ক্ষতিপূরণ (Environmental Compensation) দাবি করে চার্জশিট (Chargesheet) দাখিল করা হয়েছে। এটি উত্তর প্রদেশে গাছ কাটার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ জরিমানার (Fine Imposed) ঘটনা। ২০১৯ সালের এই ঘটনার ছয় বছর পর মামলার প্রথম শুনানি নির্ধারিত হয়েছে ২০ মে, ২০২৫-এ। ঘটনাটি পরিবেশ সংরক্ষণে কঠোর পদক্ষেপের গুরুত্ব তুলে ধরেছে।

২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর, বিজনৌরের ইউসুফপুর হামিদ গ্রামে ব্রজপাল সিং-এর ক্ষেতে ১৭টি আম গাছ অবৈধভাবে কাটার (Illegal Tree Cutting) খবর পায় বন বিভাগ। অভিযানে দেখা যায়, কাটা গাছের কাঠ একটি ট্রাক্টরে তোলা হচ্ছিল। বন বিভাগ ট্রাক্টরটি জব্দ করে এবং ব্রজপাল সিং, মজহার, ইয়ামিন, তাহজিব ও শহিদের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশ বৃক্ষ সংরক্ষণ আইন, ১৯৭৬ (UP Tree Protection Act) অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করে। ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ অভিযুক্তদের নোটিশ পাঠানো হলেও তারা আদালতে হাজির হননি, যার ফলে বন বিভাগ তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে বলে ধরে নিয়েছে।

জাঁচে জানা যায়, কাটা গাছগুলির গড় বয়স ছিল ১৫ বছর। সুপ্রিম কোর্টের কেন্দ্রীয় পরিবেশ কমিটির মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি গাছ কাটার ফলে বছরে ৭৪,৫০০ টাকার পরিবেশগত ক্ষতি হয়। এই হিসাবে ১৭টি গাছের ক্ষতি ধরা হয়েছে ২,৬৫,৯৬,৫০০ টাকা। অতিরিক্ত ৮৫,০০০ টাকা জরিমানাসহ মোট ২,৬৬,৮১,৫০০ টাকার জরিমানার সুপারিশ করে বন বিভাগ প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (CJM) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এক বন কর্মকর্তা বলেন, “এই জরিমানা গাছের পরিবেশগত মূল্যের প্রতি সচেতনতা বাড়াবে।”

এই ঘটনা উত্তর প্রদেশে গাছ কাটার কঠোর নিয়ম এবং পরিবেশ সুরক্ষার (Environmental Protection) গুরুত্ব তুলে ধরেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই রায় অন্যদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে। আদালতের সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষায় মাইলফলক হতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *