অপারেশন সিন্দুরের পর ভারতে হাই অ্যালার্ট: ২০০-র বেশি ফ্লাইট বাতিল, ১৮টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ

নয়াদিল্লি, ৭ মে: ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর অধীনে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে মিসাইল হামলার পর দেশজুড়ে উচ্চ সতর্কতা জারি হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে শ্রীনগর, লে, জম্মু, আমৃতসর, চণ্ডীগড়, জোধপুর, ধর্মশালা, জামনগর সহ উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ১৮টি বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিগো, স্পাইসজেট, আকাসা এয়ার, এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস এবং কিছু বিদেশি এয়ারলাইন্স ২০০-র বেশি ফ্লাইট বাতিল করেছে। ইন্ডিগো একাই প্রায় ১৬০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ও এয়ারলাইন্স যাত্রীদের ফ্লাইটের অবস্থা যাচাই করে বিমানবন্দরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মধ্যরাত থেকে ৩৫টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, যার মধ্যে ২৩টি দেশীয় প্রস্থান, ৮টি আগমন এবং ৪টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট রয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, জম্মু, শ্রীনগর, লে, আমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড়, জোধপুর ও রাজকোট থেকে ফ্লাইট ১০ মে সকাল ৫:২৯ পর্যন্ত বাতিল থাকবে। স্পাইসজেট তাদের এক্স পোস্টে বলেছে, “উত্তর ভারতের কয়েকটি বিমানবন্দর পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ। যাত্রীরা ফ্লাইটের অবস্থা যাচাই করে রিফান্ড বা বিকল্প ফ্লাইট বেছে নিতে পারেন।” আমেরিকান এয়ারলাইন্স সহ বিদেশি ক্যারিয়ারও দিল্লি থেকে কিছু সার্ভিস বাতিল করেছে।
এয়ার ইন্ডিয়া ও স্পাইসজেট যাত্রীদের জন্য রিফান্ড বা ফ্রি রিশিডিউলিংয়ের সুবিধা ঘোষণা করেছে। আকাসা এয়ার এক্স-এ জানিয়েছে, “শ্রীনগর বিমানবন্দর নাগরিক অপারেশনের জন্য বন্ধ, আমাদের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।” বিমানন কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তা প্রথম, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।” এই পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রতিফলন ঘটালেও, যাত্রীদের ধৈর্য ধরে ফ্লাইটের আপডেট যাচাই করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।