পাটনা, ৭ মে: খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস (KIYG) ২০২৫-এ গয়ার আইআইএম ক্যাম্পাসে বুধবার গটকা প্রতিযোগিতা ঐতিহাসিক উচ্ছ্বাসে মুখরিত হয়। এই ঐতিহ্যবাহী যুদ্ধকলায় ৬টি স্বর্ণপদকের জন্য লড়াই হয়, যেখানে মহারাষ্ট্র মেয়েদের টিম ফরি-সোটি বিভাগে রৌপ্য পদক জিতে প্রথম সাফল্য অর্জন করে। শান্ত সকাল স্কুলছাত্রদের উৎসাহী সমর্থনে জমজমাট হয়ে ওঠে। খেলোয়াড়রা কাঠের লাঠি (সোটি) ও ঢাল (ফরি) নিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে। এই প্রাণবন্ত পরিবেশ গটকার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও জনপ্রিয়তার প্রতিশ্রুতি জাগিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের কোচ আরতি চৌধুরী বলেন, “মহারাষ্ট্রে গটকার একটি স্থানীয় রূপ ‘মরদানি’ নামে পরিচিত। এর নিয়ম ভিন্ন হলেও মিল অনেক। ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থন এই খেলকে নতুন উচ্চতায় নিয়েছে।” গটকা, কলারিপায়াট্টু, থাং-টা ও মল্লখম্বের মতো দেশীয় খেল ২০২০ সালে খেলো ইন্ডিয়ায় যুক্ত হয়, যা তরুণদের মধ্যে এর জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। বিহারের শিক্ষক রবি রোশন, যিনি ছাত্রদের নিয়ে এই ইভেন্টে এসেছিলেন, বলেন, “ছাত্ররা গটকা ও মল্লখম্বে আগ্রহী হয়েছে। বিহারে এই আয়োজন খেলাধুলার দীর্ঘমেয়াদি উন্নতি ঘটাবে।” অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী জায়নাব পারভিন উৎসাহে বলেন, “গটকা দেখে আমারও সোটি হাতে নিয়ে খেলার ইচ্ছা জাগছে।”
বিহারের পারফরম্যান্স ছিল চমকপ্রদ। প্রত্যাশা ছাড়িয়ে তারা ১টি রৌপ্য ও ৪টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৫টি পদক জিতেছে। অংশু মেয়েদের সিঙ্গল সোটি বিভাগে রৌপ্য, আকাশ কুমার শর্মা ও কোমল জৈন পৃথক ফরি-সোটি বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছেন। টিম ফরি-সোটি বালক ও বালিকা বিভাগেও বিহার ব্রোঞ্জ অর্জন করে। এই সাফল্য বিহারের ক্রীড়া ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। পদক তালিকায় ঝাড়খণ্ড, চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব ও দিল্লিও শীর্ষে ছিল। গটকার এই জোশ ভারতের ঐতিহ্যবাহী খেলার পুনর্জাগরণের ইঙ্গিত দেয়, যা তরুণ প্রজন্মকে আকর্ষণ করছে।