বিদেশ সফরে মোদির ভাষার সেতু গুরদীপ কৌর, কে এই ছায়ার মতো সঙ্গী?

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিশ্বমঞ্চে ভারতের নাম উজ্জ্বল করছেন, এবং তাঁর বিদেশ সফর প্রায়ই খবরের শিরোনামে থাকে। ২০১৪ সাল থেকে তিনি বিভিন্ন দেশে সফর করে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করছেন। তবে, তাঁর সমালোচকরা প্রায়ই বলেন, মোদি বছরের অর্ধেক সময় বিদেশেই কাটান। এই সফরগুলোতে একজন মহিলার উপস্থিতি সবার নজর কাড়ে, যিনি মোদির ছায়ার মতো সঙ্গে থাকেন। তিনি গুরদীপ কৌর চাওলা, একজন দক্ষ অনুবাদক, যিনি মোদির হিন্দি ভাষণকে বিদেশি নেতাদের ভাষায় রূপান্তরিত করেন। তাঁর ভূমিকা শুধু অনুবাদ নয়, মোদির বক্তব্যের ভাব ও গভীরতা অক্ষুণ্ণ রাখা।
গুরদীপ কৌর, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই মহিলা, ১৯৯০ সালে সংসদে অনুবাদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। বিয়ের পর তিনি আমেরিকায় চলে যান, কিন্তু পরে ভারতে ফিরে আসেন। তাঁর বহুভাষিক দক্ষতার কারণে তাঁকে মোদির বিদেশ সফরের অনুবাদক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। গুরদীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের আবেগ ও উদ্দেশ্য সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া আমার দায়িত্ব। এটি চ্যালেঞ্জিং, কিন্তু গর্বের কাজ।” মোদি বিদেশে হিন্দি ভাষাকে প্রাধান্য দেন, এবং গুরদীপ তাঁর কথাকে বিশ্ব নেতাদের কাছে তাঁদের মাতৃভাষায় পৌঁছে দেন, যা ভারতের সাংস্কৃতিক গৌরবের প্রতিফলন।
গুরদীপের কাজের জটিলতা তাঁর সঙ্গে মোদির ঘনিষ্ঠ উপস্থিতির কারণ বোঝায়। তিনি মোদির ভাষণের ভাব ও প্রেক্ষাপট গভীরভাবে বুঝতে তাঁর সঙ্গে থাকেন। তাঁর আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং পেশাদারিত্ব তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আদর্শ করে তুলেছে। সমালোচকদের মুখে মোদির বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও, গুরদীপের মতো ব্যক্তির অবদান ভারতের কূটনৈতিক সাফল্যের পেছনে নীরব শক্তি হিসেবে কাজ করে। তাঁর গল্প ভারতীয় নারীশক্তি ও পেশাদারিত্বের এক উজ্জ্বল উদাহরণ।
গুরদীপের উপস্থিতি মোদির সফরে একটি সূক্ষ্ম, কিন্তু অপরিহার্য মাত্রা যোগ করে। তিনি শুধু একজন অনুবাদক নন, বরং ভারতের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক বার্তাকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সেতু। তাঁর কাজ বিশ্বমঞ্চে ভারতের কণ্ঠস্বরকে আরও শক্তিশালী করছে।