ত্তরাখণ্ডে ভয়াবহ হেলিকপ্টার বিপর্যয়, গঙ্গনানীতে পাঁচজনের মৃত্যু, চলছে উদ্ধারকাজ

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলার গঙ্গনানী এলাকায় বুধবার (৮ মে, ২০২৫) সকালে একটি মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পাঁচ তীর্থযাত্রীর প্রাণহানি ঘটেছে, এবং দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দেরাদুন থেকে গঙ্গোত্রীর উদ্দেশে রওনা হওয়া এই বেসরকারি হেলিকপ্টারটি গঙ্গনানীর কাছে নাগ মন্দিরের নিকট বিধ্বস্ত হয়। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৮:৪০-এ দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। হেলিকপ্টারে পাইলট-সহ মোট সাতজন যাত্রী ছিলেন, যাঁদের মধ্যে পাঁচজন মহিলা মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে একজন পাইলট এবং একজন পুরুষ যাত্রী রয়েছেন।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই জেলা প্রশাসন, রাজ্য দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনী (এসডিআরএফ), ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স, ভটওয়াড়ির তহসিলদার, বিডিও এবং রাজস্ব দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে। উত্তরকাশীর পুলিশ সুপার সরিতা দোবাল নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধার তৎপরতা তদারকি করছেন। তিনি বলেন, “উদ্ধারকাজ শেষ হলেই মৃত ও আহতদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া যাবে।” প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, যাত্রীরা সকলেই কর্ণাটকের বাসিন্দা ছিলেন। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি দুর্ঘটনার খবর পেয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং তাৎক্ষণিক উদ্ধার ও ত্রাণকাজের নির্দেশ দিয়েছেন। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “গঙ্গনানীতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কয়েকজনের প্রাণহানির খবর অত্যন্ত মর্মান্তিক। এসডিআরএফ এবং জেলা প্রশাসনের দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছে। আমি প্রশাসনকে আহতদের সব রকম সাহায্য এবং দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।” তিনি দুর্গতদের আত্মার শান্তি এবং শোকাহত পরিবারের জন্য শক্তি কামনা করেন।
এই দুর্ঘটনা উত্তরাখণ্ডে তীর্থযাত্রা-সংক্রান্ত হেলিকপ্টার পরিষেবার নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো (এএআইবি) এই ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানা গেছে। সমস্ত যাত্রী কর্ণাটকের হলেও তাঁদের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। গঙ্গোত্রী-যমুনোত্রী তীর্থযাত্রার জনপ্রিয়তা বাড়লেও, এই দুর্ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে। তদন্তের ফলাফল এবং ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা পদক্ষেপ নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।