অপারেশন সিঁদুর কী? রামায়ণের সাথে সরাসরি সম্পর্ক

২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল পহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ভারত ৬ মে মধ্যরাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এই অভিযানে লস্কর-ই-তইয়বা ও জয়শ-ই-মোহাম্মদের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে, যার মধ্যে বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকে ছিল প্রধান লক্ষ্য। ভারত দাবি করেছে, এতে ১০০-র বেশি সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে, যদিও পাকিস্তান বলছে, হামলায় শিশুসহ ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক মারা গেছে। এই অভিযানের নামকরণ ও পরিকল্পনায় রামায়ণের হনুমানের প্রভাব স্পষ্ট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই অভিযানে রাফাল যুদ্ধবিমান, স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল ও হ্যামার বোমা ব্যবহার করা হয়। ভারত জানিয়েছে, এটি সুনির্দিষ্ট ও সংযমী হামলা, যাতে পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়নি।
অপারেশন সিঁদুরের নামকরণে রামায়ণের হনুমানের গল্পের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বাল্মীকি রামায়ণ ও তুলসীদাসের শ্রী রামচরিত মানস অনুসারে, হনুমান লঙ্কার শক্তিশালী রাডার ব্যবস্থা (লঙ্কিনী) ভেদ করে অধর্মী লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছিলেন, বিভীষণের মতো ধর্মীয় ব্যক্তিদের রক্ষা করে। ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ একইভাবে পাকিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি চিহ্নিত করে এই অভিযান পরিচালনা করে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, হনুমানের নীতি অনুসরণ করে এই হামলা সুনির্দিষ্টভাবে জঙ্গিদের লক্ষ্য করেছে। রামায়ণে হনুমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মতো ‘৪৯ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের’ যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবহার করেছিলেন, আর ভারতীয় সেনা মাত্র ২৫ মিনিটে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে এই অভিযান সম্পন্ন করে।