রবীন্দ্র জয়ন্তী ২০২৫: বিশ্বকবির উক্তিতে জীবনের পথ খুঁজছে বাঙালি

কলকাতা: আজ ২৫ বৈশাখ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী। বাঙালির হৃদয়ে, মননে, সুখে-দুঃখে গুরুদেবের উপস্থিতি চিরন্তন। তাঁর সাহিত্য, গান, দর্শন আজও পথপ্রদর্শক। “চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির”–এই উক্তির মতো তাঁর বাণী সমাজকে সাহস ও মুক্তির পথ দেখায়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিশ্বের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিরা এই দিনটি উৎসবের রূপে পালন করেন।
প্রতি বছরের মতো এবারও স্কুল-কলেজ, পাড়া-মহল্লা ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে প্রভাতফেরি, গান, আবৃত্তি, নৃত্যনাট্য ও আলোচনা সভার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথকে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। কলকাতার একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য অর্পিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, “রবীন্দ্রনাথের উক্তি ও গান আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে প্রাসঙ্গিক। তাঁর ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে’ আমাকে সবসময় এগিয়ে যেতে শেখায়।” এই উৎসবে নতুন প্রজন্মের উৎসাহও উল্লেখযোগ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণরা কবির কালজয়ী উক্তি শেয়ার করে তাঁর দর্শনকে ছড়িয়ে দিচ্ছে।
রবীন্দ্রনাথের উক্তি, যেমন “সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, সে কখনো করে না বঞ্চনা” বা “হে মোর দুর্ভাগা দেশ, যাদের করেছ অপমান, অপমানে হতে হবে তাহাদের সবার সমান,” আজও সমাজের অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সোচ্চার। এই উক্তিগুলি বাঙালির মনে সাম্য, সত্য ও সাহসের বীজ বপন করে। রবীন্দ্র জয়ন্তী শুধু একটি উদযাপন নয়, বরং গুরুদেবের আদর্শকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতি।