কলকাতা বিমানবন্দরে কড়া নিরাপত্তা, পাক হামলার আশঙ্কায় জরুরি বৈঠক আজ

কলকাতা: ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের ড্রোন ও মিসাইল হামলার প্রেক্ষাপটে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদার করতে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ)-এর সমস্ত কর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যাঁরা ছুটিতে ছিলেন, তাঁদেরও তাৎক্ষণিক ডিউটিতে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। “যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার,” বলেন বিমানবন্দরের এক সিআইএসএফ কর্মকর্তা।
পাহালগামে ২২ এপ্রিল সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করে। এর জবাবে পাকিস্তান বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানে একাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায়, যা ভারতীয় সেনাবাহিনী সফলভাবে প্রতিহত করে। এই উত্তেজনার প্রভাবে দেশের ২০টি বিমানবন্দরে নোটাম (নোটিস টু এয়ারমেন) জারি করা হয়েছে। কলকাতা বিমানবন্দরে শুক্রবার (৯ মে) ব্যুরো অফ সিভিল এভিয়েশন সিকিউরিটি (বিসিএএস) যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করছে। “আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নই,” বলেন বিমানবন্দরের এক আধিকারিক।
বৃহস্পতিবার সিআইএসএফ-এর ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, এয়ারলাইন্স প্রতিনিধি ও নিরাপত্তা আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে, এবং আগমন ও প্রস্থান এলাকায় কোনো গাড়িকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় যাত্রীদের উড়ানের তিন ঘণ্টা আগে পৌঁছতে এবং দেড় ঘণ্টা আগে গেট বন্ধের নিয়ম মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছে। “যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি,” বলেন বিমানবন্দরের ডিরেক্টর। এই সংকটকালীন পরিস্থিতিতে যাত্রীদের ধৈর্য ও সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।