কিম জং উনের রুশ দূতাবাসে বিরল সফর, উত্তর কোরিয়া-রাশিয়ার সম্পর্ক আরও গভীর
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন শুক্রবার (৯ মে, ২০২৫) তাঁর কন্যার সঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের রুশ দূতাবাসে এক বিরল সফরে রাশিয়ার বিজয় দিবস উদযাপন করেন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির উপর সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী স্মরণ করে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ-র প্রতিবেদনে কিম বলেন, “উত্তর কোরিয়া ডিপিআরকে-রাশিয়ার দীর্ঘ ঐতিহ্য, মহৎ আদর্শিক ভিত্তি এবং অজেয় জোটকে সুসংহত ও উন্নয়ন করবে।” এই সফর উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের প্রতিফলন। দুই দেশ সম্প্রতি তাদের প্রথম সড়ক সংযোগ নির্মাণ শুরু করেছে, যা অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন এই দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতাকে আরও জোরদার করবে।
কিমের এই সফর এমন সময়ে এলো যখন উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার কুর্স্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের আক্রমণ প্রতিহত করতে ১৫,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে, যার মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৬০০ জন নিহত হয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সমর্থনের জন্য উত্তর কোরিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মস্কোতে বিজয় দিবসের সামরিক কুচকাওয়াজে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উপস্থিত ছিলেন, এবং কিছু উত্তর কোরিয়ার সৈন্য ইউনিফর্মে কুচকাওয়াজ পর্যবেক্ষণ করেন। পুতিন উত্তর কোরিয়ার সেনা জেনারেলদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করেন এবং একজনকে আলিঙ্গন করেন। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই বলেন, “পিয়ংইয়ং এবং মস্কো সবসময় একসঙ্গে থাকবে।” দক্ষিণ কোরিয়ার তথ্য অনুযায়ী, এই সামরিক সহযোগিতার বিনিময়ে পিয়ংইয়ং রাশিয়ার কাছ থেকে স্যাটেলাইট, ড্রোন এবং বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রযুক্তিগত সহায়তা পেয়েছে, যদিও উভয় দেশ অস্ত্র বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনা উত্তর কোরিয়া-রাশিয়া সম্পর্কের গভীরতা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের কৌশলগত জোটের গুরুত্ব তুলে ধরে।