পরীক্ষার ফল খারাপ? সন্তানের ব্যর্থতায় পাশে থাকুন ও মানসিক শক্তি জোগান এই উপায়ে

মাধ্যমিক জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা, যেখানে সাফল্যের উচ্ছ্বাস যেমন আছে, তেমনই ব্যর্থতার হতাশাও কৈশোরের মনে গভীর ছাপ ফেলে। ফলাফল খারাপ হলে ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে, আর এই সময় বাবা-মায়ের ভূমিকা হয়ে ওঠে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। “ব্যর্থতা জীবনের শেষ নয়, এটি নতুন শুরুর পথ দেখায়,” বলেন মনোবিদ রুমা চৌধুরী। তিনি জানান, সন্তানের পাশে থাকা এবং তাদের মনোবল বাড়ানোই এই কঠিন সময়ে অভিভাবকদের প্রধান কাজ। ফলাফলের চাপে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকা কিশোর-কিশোরীদের জন্য অভিভাবকদের সঠিক সমর্থনই হতে পারে তাদের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
কীভাবে সন্তানের পাশে থাকবেন? প্রথমত, তাদের তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন। “পাশের বাড়ির ছেলে ভালো ফল করেছে, তুমি পারলে না কেন?”—এমন প্রশ্ন সন্তানের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করে। বরং বলুন, “মাধ্যমিক জীবনের একটা ধাপ মাত্র, আরও সুযোগ আছে।” যদি সন্তান কান্নায় ভেঙে পড়ে, তবে তাদের আবেগ প্রকাশের সুযোগ দিন। তাদের একা রাখবেন না; বোঝান যে আপনি প্রতিটি মুহূর্তে তাদের সঙ্গে আছেন। তাদের মন চাঙ্গা করতে পছন্দের খাবার রান্না করুন বা একসঙ্গে সিনেমা দেখার পরিকল্পনা করুন। “একটি হাসি, একটি আলিঙ্গন অনেক সময় মনের জখম সারিয়ে দেয়,” বলেন শিক্ষক অমিত সেন। এছাড়া, ইতিবাচক কথাবার্তা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মাধ্যমে তাদের মানসিক শক্তি বাড়ান। আজকের ব্যর্থতা সন্তানকে আগলে রাখলে একদিন সাফল্যে রূপান্তরিত হবে। সেই দিন সকলে মিলে উৎসবের মেজাজে তাদের কৃতিত্ব উদযাপন করবেন।