ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনার মধ্যে দেশজুড়ে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাজ্যগুলিকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন, এবং পশ্চিমবঙ্গে নবান্ন কেন্দ্রের সঙ্গে ঘন ঘন বৈঠক করছে। মক ড্রিল ও ব্ল্যাকআউট পরিস্থিতির প্রশিক্ষণও সম্পন্ন হয়েছে। এই সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট বিকাশভবনের সামনে অবস্থানরত যোগ্য শিক্ষকদের জন্য নোটিস জারি করেছে। নোটিসে বলা হয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে জরুরি পরিষেবা বিভাগগুলিকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাই বিকাশভবনের সামনের রাস্তা খালি করতে হবে। “এই মুহূর্তে জাতীয় নিরাপত্তা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিক্ষোভকারীদের সহযোগিতা কামনা করছি,” বলেন বিধাননগর পুলিশের এক কর্মকর্তা।

গত এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারানো শিক্ষকদের তিনটি সংগঠন বিকাশভবনের সামনে অ betaবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছিল। মাঝে তারা অন্যত্র সরে গেলেও, গত বুধবার থেকে পুনরায় বিকাশভবনে ফিরে এসেছেন। শিক্ষকরা তাদের চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে অটল। “আমরা ন্যায়ের জন্য লড়ছি। এই নোটিস আমাদের আন্দোলন থামাতে পারবে না,” বলেন বিক্ষোভকারী শিক্ষক বিশ্বজিৎ পাল। তবে, পুলিশ জানিয়েছে, জাতীয় সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে, এবং জোরপূর্বক ব্যবস্থা এড়াতে বিক্ষোভকারীদের সহযোগিতা প্রত্যাশিত। স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, শিক্ষকদের দাবি ন্যায্য হলেও, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই পদক্ষেপ অপরিহার্য। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা বাড়ছে।