সেনাপ্রধানের হাতে বিশেষ ক্ষমতা, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ?

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করেছে। শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নির্দেশে টেরিটোরিয়াল আর্মিকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে মোতায়েন করার জন্য সেনাপ্রধানকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। টেরিটোরিয়াল আর্মি রুলস, ১৯৪৮-এর ৩৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী, জেনারেল দ্বিবেদী যেকোনো সময় যেকোনো সেনা অফিসারকে সীমান্ত নিরাপত্তা ও সেনাবাহিনীকে সহায়তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে পারবেন। উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার এই খবর ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ ও স্টারলিংকের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে, জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি ভারতের কঠোর অবস্থান তুলে ধরছে।
এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের দৃঢ় প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক আকাশসীমা লঙ্ঘন ও জঙ্গি হামলার প্রেক্ষিতে ভারত কোনো আঘাতের জবাবে দশগুণ শক্তিশালী প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত। টেরিটোরিয়াল আর্মির মোতায়েন সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং সেনাবাহিনীকে লজিস্টিক ও অপারেশনাল সহায়তা প্রদান করবে। ‘অপারেশন সিন্দুর’ এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গি শিবির ধ্বংসের পর পাকিস্তানের পাল্টা হামলা ব্যর্থ হয়েছে। এই বিশেষ ক্ষমতা সেনাপ্রধানকে দ্রুত ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেবে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। এই পদক্ষেপ ভারতের সন্ত্রাসবাদ ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অটল নীতির প্রতিফলন, যা জাতীয় নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।