জল আর রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না… আতঙ্কবাদ নিয়ে পিএম মোদী পাকিস্তানকে দিলেন সতর্কবার্তা

জল আর রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না… আতঙ্কবাদ নিয়ে পিএম মোদী পাকিস্তানকে দিলেন সতর্কবার্তা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমবারের মতো অপারেশন সিন্দুর নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। এ সময় তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, “জল আর রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না।” এই বক্তব্য শুধু পাকিস্তানকে সতর্ক করার জন্য নয়, বরং আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে ভারতের শূন্য সহনশীলতা নীতির ঘোষণাও ছিল।
পিএম-এর এই বক্তব্যকে একটি নির্ণায়ক সতর্কবার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই বাক্যটি কেবল কূটনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা নীতি এবং পাকিস্তানের দ্বৈত নীতির বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা। মোদী স্পষ্ট করেছেন, এখন আর সেই দিন নেই যখন রক্তপাতের পর ভারত জল বইতে দিত। আতঙ্ক ও আলোচনা, বাণিজ্য ও বিশ্বাস—এখন এগুলো একসঙ্গে চলতে পারে না। ভারত এখন শুধু শোনে না, জবাব দেয়, তাও নিজের শর্তে।
অপারেশন সিন্দুর নিয়ে পিএম কী বললেন?
প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণের শুরুতে অপারেশন সিন্দুরের প্রসঙ্গ তুলে সেই পহেলগাম হামলার কথা বলেন, যা দেশকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যখন ধর্ম জিজ্ঞাসা করে নাগরিকদের হত্যা করা হয়, তখন জাতির মধ্যে একটি ঢেউ ওঠে—শুধু শোকের নয়, প্রতিশোধেরও। মোদী বলেন, সমগ্র দেশ, প্রতিটি দল, প্রতিটি শ্রেণি একযোগে আতঙ্কবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। এই জনভাবনাই অপারেশন সিন্দুরের জন্ম দিয়েছে। এই অপারেশন ছিল ন্যায়ের নতুন প্রতিজ্ঞাকে ফলপ্রসূ করার একটি পদক্ষেপ।
বাহাওয়ালপুর-মুরিদকে নিয়ে পিএম-এর বক্তব্য
প্রধানমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকের মতো বড় আতঙ্কী ঘাঁটিতে ভারতের সামরিক অভিযান বিশ্বকে হতবাক করেছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ১০০-এর বেশি আতঙ্কীকে নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে। এই আতঙ্কীরা পাকিস্তানে খোলাখুলি ঘুরে বেড়াত। মোদী বলেন, ভারতের তৈরি অস্ত্র ব্যবস্থা এই অপারেশনে নিজেকে প্রমাণ করেছে। পুরো বিশ্ব দেখেছে, ভারত এখন কেবল প্রতিক্রিয়া দেয় না, নির্ণায়ক ও সুনির্দিষ্ট হামলার মাধ্যমে আতঙ্কের শিকড় কেটে ফেলার নীতিতে কাজ করছে।

পাকিস্তানকে পিএম মোদীর সতর্কবার্তা
মোদী পাকিস্তানকে স্পষ্ট ভাষায় সতর্ক করে বলেন, যদি তাদের বাঁচতে হয়, তবে আতঙ্কের কাঠামো ভেঙে ফেলতে হবে। নইলে, পাকিস্তান সেই বিষেই ডুবে যাবে, যা তারা অন্যের জন্য পুষছে। তিনি বলেন, ভারত এখন আতঙ্কের পৃষ্ঠপোষক ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের মধ্যে পার্থক্য করে না। পারমাণবিক হুমকি বা যুদ্ধের ভয় ভারতকে আর ভীত করে না। যদি হামলা হয়, জবাবও হবে—তাও দ্বিগুণ, নির্ণায়ক এবং বিনা সতর্কতায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *