বাড়িতে বিড়ালছানা জন্ম! শুভ না অশুভ? জানুন জ্যোতিষের রহস্য

সনাতন ধর্মে বাস্তু ও জ্যোতিষশাস্ত্রের গুরুত্ব অপরিসীম, এবং বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো এর সঙ্গে যুক্ত। বাড়িতে বিড়ালের বিড়ালছানা জন্ম দেওয়া নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র ধারণা রয়েছে—কেউ এটিকে শুভ মনে করেন, কেউ অশুভ। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে বিড়ালছানা জন্ম পরিবারে সুখ, সমৃদ্ধি, এবং ইতিবাচক শক্তি নিয়ে আসে। এটি পারিবারিক ঝামেলা দূর করে ঐক্য বাড়ায় এবং নেতিবাচক শক্তির প্রবেশ রোধ করে। বিশেষ করে, বিড়ালছানা জন্মের ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ির সদস্যদের উন্নতি ও সাফল্যের সম্ভাবনা বাড়ে। সোনালী বা বাদামী বিড়ালের উপস্থিতি সৌভাগ্য ও সম্পদের নতুন পথ খুলে দেয়, আটকে থাকা অর্থ ফিরে আসতে পারে, এবং মুলতুবি কাজ সফল হয়। তবে, জ্যোতিষীরা সতর্ক করে বলেন, কালো বিড়ালের হঠাৎ কান্না অশুভ লক্ষণ, যা অপ্রীতিকর ঘটনা বা খারাপ সংবাদের ইঙ্গিত দেয়।
অন্যদিকে, বিড়াল পালন নিয়ে জ্যোতিষীদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। কেউ মনে করেন, বিড়াল ঘরে নেতিবাচক শক্তি ও দুর্ভাগ্য নিয়ে আসে, কারণ এটি রাহু গ্রহের প্রভাব সক্রিয় করে, যা জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে, বাড়িতে বিড়ালছানা জন্মকে অধিকাংশ জ্যোতিষী শুভ বলে মনে করেন, বিশেষ করে বাড়ির প্রধানের জন্য। এটি পরিবারের অগ্রগতি ও সাফল্যের প্রতীক। উদাহরণস্বরূপ, সোনালী বিড়াল সৌভাগ্যের প্রতীক, আর বাদামী বিড়াল সম্পদের পথ উন্মুক্ত করে। এই বিশ্বাসগুলো সনাতনী মান্যতার ওপর ভিত্তি করে, তবে বাস্তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। এই তথ্য সাধারণ বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে, এবং প্রেসকার্ড নিউজ এটির সত্যতা নিশ্চিত করে না। তবু, এই ধারণাগুলো সাংস্কৃতিক ও জ্যোতিষীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের কৌতূহল ও বিশ্বাসকে প্রভাবিত করে।