তুরস্কের আপেলের বয়কট সাহিবাবাদে, পাকিস্তান সমর্থনের জেরে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ

গাজিয়াবাদ, ১৪ মে ২০২৫: উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের সাহিবাবাদ ফল মণ্ডিতে তুরস্ক থেকে আমদানি করা আপেলের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাকিস্তানের সমর্থনে তুরস্কের প্রকাশ্য অবস্থানের জেরে ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ঘোষণা করেছেন, পাকিস্তানের পক্ষে দাঁড়ানো যে কোনও দেশের সঙ্গে তারা আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করবে। ফসলের মরশুমে তুরস্ক থেকে প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ কোটি টাকার আপেল আমদানি হতো, যা এখন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।
পাহালগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত পাকিস্তানের সীমান্তে প্রবেশ করে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করেছে। এরপর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে তুরস্ক পাকিস্তানের পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন জানায়, যা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সাহিবাবাদ মণ্ডির ফল ব্যবসায়ীরা এই ক্ষোভের প্রতিফলন হিসেবে তুরস্কের আপেল বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। “তুরস্ক পাকিস্তানকে ড্রোন সরবরাহ করেছে, যা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছে। তাই আমরা তুরস্কের ফল বিক্রি বন্ধ করেছি,” বলেন এক ব্যবসায়ী।
এই সিদ্ধান্তের ফলে তুরস্কের আপেল স্থানীয় বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ইরান এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে আপেল আমদানি করছে। স্থানীয় ক্রেতারাও এই বয়কটে সমর্থন জানিয়েছেন। একজন ব্যবসায়ী বলেন, “এটা কেবল ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নয়, আমাদের সশস্ত্র বাহিনী এবং সরকারের প্রতি সংহতি প্রকাশের একটি পদক্ষেপ। আমরা পাকিস্তানের সমর্থক কোনও দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করব না।”
এই বয়কট ১০০০-১২০০ কোটি টাকার মৌসুমি ব্যবসায়ের উপর বড় প্রভাব ফেলবে। সাহিবাবাদের ব্যবসায়ীদের এই পদক্ষেপ জাতীয়তাবাদী মনোভাবের প্রতিফলন, যা দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ছে। স্বদেশী জাগরণ মঞ্চও তুরস্কের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং পর্যটন বয়কটের আহ্বান জানিয়েছে।