রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তে সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারে আদালত? মুর্মুর প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি: রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বুধবার সংবিধানের ১৪৩(১) ধারার অধীনে সুপ্রিম কোর্টের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আইনি মতামত চেয়েছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়া বিলের ওপর রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের সিদ্ধান্তে আদালত কি সময়সীমা নির্ধারণ বা হস্তক্ষেপ করতে পারে? এই পদক্ষেপ এসেছে সুপ্রিম কোর্টের এপ্রিল মাসের একটি রায়ের পর, যেখানে রাজ্যপালের পাঠানো বিলের ওপর রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য তিন মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এই বিতর্কের সূত্রপাত তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল আর এন রবির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের সমালোচনার পর। রাজ্য বিধানসভায় পুনর্বিবেচনার পর পাস হওয়া ১০টি বিলে বিলম্ব করার জন্য রাজ্যপালের পদক্ষেপকে আদালত “অবৈধ ও ভুল” বলে অভিহিত করে। আদালত বলেছিল, রাজ্যপালরা রাজ্যের আইনে “অনির্দিষ্টকাল” বসে থাকতে পারেন না এবং রাষ্ট্রপতির তিন মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এই রায় সংবিধানের ২০০ ও ২০১ ধারার অধীনে রাষ্ট্রপতি ও রাজ্যপালের ক্ষমতার উপর আদালতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি মুর্মু সুপ্রিম কোর্টের কাছে ১৪টি প্রশ্ন তুলেছেন। এর মধ্যে রয়েছে: সংবিধানের ২০০ ধারার অধীনে রাজ্যপালের কী বিকল্প রয়েছে? তাঁর সিদ্ধান্ত কি মন্ত্রী পরিষদের পরামর্শ মেনে চলতে বাধ্য? রাষ্ট্রপতির ২০১ ধারার সিদ্ধান্ত কি বিচার্য? আদালত কি এই ক্ষমতার জন্য সময়সীমা বা পদ্ধতি নির্ধারণ করতে পারে? সংবিধানে কোনো সময়সীমা না থাকলেও এই প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
সংবিধানের ২০০ ধারায় বলা হয়েছে, রাজ্যপাল বিলে সম্মতি দিতে, আটকে রাখতে বা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। ২০১ ধারায় রাষ্ট্রপতি বিল অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। তবে কোনো সময়সীমা উল্লেখ নেই। মুর্মুর এই আবেদন সংবিধানের এই ধূসর এলাকায় আদালতের ভূমিকা স্পষ্ট করতে চায়।