রুপিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র? শত্রুদের সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে না

গুরুবার রুপার মূল্য বেড়ে যাওয়ার বদলে বড় ধরনের পতন দেখা গেছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, এমন সময়ে যখন দেশের মুদ্রাস্ফীতি বহু বছরের নিম্নমাত্রায় এসেছে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারে ধারাবাহিক টাকা ঢোকাচ্ছেন, তখন কারা রুপিকে দুর্বল করার ষড়যন্ত্র করছে?
ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক সংঘর্ষের পর প্রত্যাশা ছিল যে রুপা শক্তিশালী হবে, কিন্তু তা হয়নি। দিনের শুরুতে মুদ্রা বাজারে কিছুটা উন্নতি থাকলেও পরে তা শূন্যে নেমে গেছে। গত দুই দিনেও একই ধারা দেখা গেছে—সকাল বেলা রুপা কিছুটা বাড়লেও দিন শেষে তা হ্রাস পেয়েছে। বৃহস্পতিবার রুপার বড় পতন ঘটেছে।
স্থানীয় শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রবণতার কারণে সকাল বেলায় রুপা ডলারের তুলনায় ৩২ পয়সা পতন নিয়ে ৮৫.৬৪-এ নেমে এসেছে। বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েলের ভাষণ থেকে সংকেত পাওয়ার জন্য বিনিয়োগকারীরা অপেক্ষায় রয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অর্থনৈতিক নীতিতে নরম হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে তার মন্তব্য খুব গুরুত্ব সহকারে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের দুর্বলতা ও কাঁচা তেলের দামের পতন রুপাকে কিছুটা সহায়তা দিয়েছে এবং পতন সীমিত করেছে। বুধবার রুপা দিন শেষে ডলারের তুলনায় ৪ পয়সা বৃদ্ধি পেয়েছিল।
বিশ্লেষকদের মতে, বুধবারের সামান্য পতন মূলত ভারতের হোলসেল মূল্য সূচকের ১৩ মাসের সর্বনিম্ন স্তরে নেমে যাওয়ার প্রভাব। এই হ্রাসের ফলে বাজারে আরবি আই অর্থনৈতিক নীতিতে আরও সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বেড়েছে, যা মধ্যমেয়াদে উন্নতির ইঙ্গিত দিলেও স্বল্পমেয়াদে রুপার ওপর চাপ বাড়াতে পারে।
ডলার ইন্ডেক্স ছয়টি মুদ্রার বিপরীতে ০.২৩ শতাংশ পতন নিয়ে ১০০.৮১ পয়েন্টে ছিল। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের মূল্য ১.৯২ শতাংশ কমে ব্যারেল প্রতি ৬৪.৮২ ডলারে নেমে এসেছে। ভারতের শেয়ার বাজারে বিসিএসই সেনসেক্স ২৩১ পয়েন্ট কমে ৮১,০৯৯.৮০-এ এবং নিফটি ৫৫ পয়েন্ট কমে ২৪,৬১১.৯৫-এ বন্ধ হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো গতকাল শুদ্ধভাবে ৯৩১.৮০ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছে।