পহেলগামের প্রতিশোধ: কাশ্মীরে সেনার নিশানায় এবার স্থানীয় জঙ্গিরা

পহেলগাম জঙ্গি হামলার পর ভারতীয় সেনা কাশ্মীর জুড়ে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে। গত ৫০ ঘণ্টায় সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে ৬ জন স্থানীয় কাশ্মীরি জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে, যাদের মধ্যে জৈশ-ই-মোহাম্মদ ও লস্কর-ই-তৈয়বা গোষ্ঠীর সদস্যরা রয়েছে। এর আগে, ৬-৭ মে রাতে সেনা পাকিস্তান ও পিওকে-তে ঢুকে ১০০-র বেশি জঙ্গিকে হত্যা করে। পহেলগামের ঘটনার পর এটাই ছিল ভারতীয় সেনার কৌশলগত জবাব।
ত্রাল ও শোপিয়ানে এনকাউন্টার, নিহত ৬ জঙ্গি
ত্রাল, দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার একটি সংবেদনশীল এলাকা। বৃহস্পতিবার সেখানে সংঘটিত এনকাউন্টারে জৈশ-ই-মোহাম্মদের তিন জঙ্গি—ইয়ার আহমদ, আমির নাজির ও আসিফ নিহত হয়। নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। জঙ্গিদের পাল্টা গুলিচালনায় সংঘর্ষ শুরু হলে তিনজনকেই নিকেশ করা হয়।
এর আগে, শোপিয়ান জেলার কেলার জঙ্গলে সেনা, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ অভিযানে লস্কর-ই-তৈয়বা/টিআরএফের তিন জঙ্গি খতম হয়। তাদের মধ্যে ছিল অপারেশন কমান্ডার শাহিদ কুট্টে, আদনান শফি (শোপিয়ানের বাসিন্দা) ও এহসান উল হক শেখ (পুলওয়ামা)। এদের কাছ থেকে একে রাইফেল, গ্রেনেড, ও বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার হয়।
পিওকে-তে প্রবল প্রতিশোধ, পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া
৬-৭ মে রাতে পহেলগামের বদলা নিতে ভারতীয় সেনা পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালায়। ৯টি স্থানে হামলা করে জৈশ ও লস্করের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়। এতে জৈশ প্রধান মাসুদ আজহারের ১০ আত্মীয়সহ ১০০-এর বেশি জঙ্গি নিহত হয়। পাকিস্তান সেনা এরপর সীমান্ত এলাকায় ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তা ব্যর্থ হয়। জবাবে ভারত আবারও হামলা চালিয়ে একাধিক পাকিস্তানি ঘাঁটি ধ্বংস করে।
ভারতীয় সেনা স্পষ্ট করেছে, এই অভিযান কেবল শুরু। কাশ্মীরকে সন্ত্রাসমুক্ত করতে তাদের অভিযান চলবে।