নকশাল বিরোধী অভিযানে স্নিফার কুকুর রোলোর মৃত্যু, মৌমাছির হামলায় প্রাণ গেল

ছত্তিশগড়ের বিজাপুর এবং পার্শ্ববর্তী তেলঙ্গানা সীমান্তে অবস্থিত কোরগোটালু পাহাড়ে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ)-এর নেতৃত্বে ২১ দিনব্যাপী নকশাল বিরোধী অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী ৩১ জন নকশালকে নিহত করেছে। তবে এই অভিযানের মধ্যে সিআরপিএফ-এর সঙ্গে যুক্ত একটি স্নিফার কুকুরের মৃত্যু হয়েছে। রোলো নামের এই মাদী বেলজিয়ান শেফার্ড সার্চ অপারেশনে নিয়োজিত ছিল, যখন মৌমাছির ঝাঁক তার উপর হামলা করে, ফলে তার মৃত্যু হয়।
এই অভিযান, যা নকশালদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অভিযান হিসেবে বিবেচিত, সিআরপিএফ-এর জন্য শুধুমাত্র এই স্নিফার কুকুরটির ক্ষতি নিয়ে এসেছে। ২ বছর বয়সী রোলোকে বিস্ফোরক এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) শনাক্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সিআরপিএফ-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৭ এপ্রিল কোরগোটালু পাহাড়ে অভিযান চলাকালীন মৌমাছির ঝাঁক রোলোর উপর হামলা করে এবং প্রায় ২০০ বার হুল ফোটায়। ১১ মে শেষ হওয়া এই ২১ দিনের অভিযানে সিআরপিএফ এবং ছত্তিশগড় পুলিশ ইউনিটের নেতৃত্বে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়, যা নকশালদের সশস্ত্র ক্যাডারদের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
২৭ এপ্রিল রোলো সার্চ অপারেশনে থাকাকালীন মৌমাছির ঝাঁক তার উপর আক্রমণ করে। তার হ্যান্ডলাররা তৎক্ষণাৎ তাকে পলিথিন শীট দিয়ে ঢেকে দেয়, কিন্তু মৌমাছিরা ভিতরে ঢুকে তাকে কামড়ায়। তীব্র ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার কারণে রোলো ব্যাকুল হয়ে পলিথিন থেকে বেরিয়ে আসে, ফলে আরও মৌমাছি তাকে হুল ফোটায়। কর্মকর্তারা জানান, প্রায় ২০০ বার হুল ফোটানোর পর রোলো অজ্ঞান হয়ে যায়। তাকে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তীব্র ব্যথার কারণে ২৭ এপ্রিল পথেই তার মৃত্যু হয়। গত বছর কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুর কাছে তরালুতে সিআরপিএফ-এর ক্যানাইন ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণের পর রোলোকে ছত্তিশগড়ে নকশাল বিরোধী অভিযানে নিয়োজিত করা হয়েছিল। সিআরপিএফ-এর মহানির্দেশক তাকে মরণোত্তর প্রশস্তি পদক দিয়ে সম্মানিত করেছেন।