আমেরিকা কি বিশ্বকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে? ন্যাটোর নতুন প্রস্তাবে উত্তেজনা!

আন্তর্জাতিক রাজনীতির সংকটময় মুহূর্তে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে উসকে দিচ্ছে। রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে আমেরিকা ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর কাছে তাদের জিডিপির ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করার দাবি জানিয়েছে। এই প্রস্তাব শুধু অর্থনৈতিক লক্ষ্য নয়, বরং ন্যাটোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি চীন, রাশিয়া এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল। এই হুমকির আড়ালে আমেরিকা সদস্য দেশগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করছে। জার্মানির মতো কিছু দেশ ইতিমধ্যে এই দাবির কাছে নতি স্বীকার করতে শুরু করেছে।
তুরস্কের আন্টালিয়ায় ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে এই নতুন দাবি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমেরিকা চায়, আগামী সাত বছরের মধ্যে সব ন্যাটো সদস্য তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট জিডিপির ৫ শতাংশে উন্নীত করুক। বর্তমানে এই লক্ষ্য ২ শতাংশ, যা এক-তৃতীয়াংশ সদস্য এখনও পূরণ করতে পারেনি। আমেরিকা এখন ৩.৫ শতাংশ ঐতিহ্যবাহী প্রতিরক্ষা এবং ১.৫ শতাংশ অবকাঠামো (যেমন সড়ক, সেতু, বন্দর, বিমানবন্দর) খাতে ব্যয়ের দাবি করছে। ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে জানিয়েছেন, রাশিয়া, সন্ত্রাসবাদ এবং চীনের মতো হুমকির কারণে সামরিক বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। তিনি স্পষ্ট করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হলেও রাশিয়া ৩ থেকে ৫ বছরের মধ্যে তার সেনাবাহিনী পুনর্গঠন করতে পারে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, জোট ততটাই শক্তিশালী যতটা তার দুর্বলতম সদস্য। ৫ শতাংশ ব্যয়ের দাবি ২১শ শতাব্দীর হুমকি মোকাবিলার জন্য অপরিহার্য। ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, নির্ধারিত ব্যয় না করলে আমেরিকা সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি পুনর্বিবেচনা করতে পারে। জার্মানি এই দাবি মেনে নিয়েছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ভেডেফুল বলেছেন, তারা ট্রাম্পের ৫ শতাংশ দাবি সমর্থন করে। জার্মানি বর্তমানে জিডিপির ২ শতাংশ প্রতিরক্ষায় ব্যয় করে, এবং প্রতি অতিরিক্ত শতাংশে প্রায় ৪৫০০ কোটি ইউরো (৫০৫০ কোটি ডলার) বাড়তি খরচ হবে।