সুপ্রিম কোর্টের রায়: বাঁকে বিহারী করিডরের জন্য মন্দির তহবিল ব্যবহারে এলাহাবাদ হাইকোর্টের আদেশ সংশোধিত

সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের নভেম্বর ২০২৩-এর আদেশ সংশোধন করে উত্তর প্রদেশ সরকারকে বাঁকে বিহারী মন্দির করিডর মামলায় ত্রাণ দিয়েছে। শীর্ষ আদালত ইউপি সরকারকে প্রস্তাবিত পরিকল্পনা অনুযায়ী মন্দিরের আশপাশের জমি কেনার জন্য মন্দির তহবিল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, তবে শর্ত থাকে যে অধিগ্রহিত জমি দেবতা বা ট্রাস্টের নামে নথিভুক্ত হতে হবে। আদালত জানিয়েছে, ঐতিহাসিক মন্দিরগুলি প্রাচীন কাঠামো, যেগুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ ও লজিস্টিক সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া, দশকের পর দশক ধরে মন্দিরগুলিতে রিসিভার নিয়োগ করা হচ্ছে, যা মূলত একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা হিসেবে উদ্দিষ্ট ছিল।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ
শীর্ষ আদালত উল্লেখ করেছে, মথুরা ও বৃন্দাবন বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের জন্য দুটি পবিত্রতম স্থান। দুঃখজনকভাবে, রিসিভার নিয়োগের সময় আদালতগুলি এই বিষয়টি বিবেচনা করছে না যে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ব্যক্তিদের রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা উচিত। এটি হাইকোর্টের নির্দেশকে সঠিক অর্থ দেবে, যা পর্যাপ্ত প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা, ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও সামাজিক পটভূমি সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগের কথা বলে। আদালত আরও জানিয়েছে, উকিলদের রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা উচিত নয়। সুপ্রিম কোর্ট মথুরার সিভিল জজ (সিনিয়র ডিভিশন)-কে ২৭.০৮.২০২৪-এর বিতর্কিত আদেশ মেনে চলার এবং যোগ্য প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার বিবরণ
নভেম্বর ২০২৩-এ এলাহাবাদ হাইকোর্ট ইউপি সরকারকে করিডর প্রকল্পের জন্য মন্দির তহবিল (প্রায় ২৬২.৫০ কোটি টাকা) ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। আদালত বলেছিল, এই তহবিল মন্দির রক্ষণাবেক্ষণ ও ধর্মীয় কাজের জন্য, সরকারি প্রকল্পের জন্য নয়। সরকারকে নিজস্ব বাজেট থেকে অর্থ বরাদ্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই বছর হাইকোর্ট বাঁকে বিহারী করিডর প্রকল্প অনুমোদন করেছিল, যার লক্ষ্য মন্দির চত্বরকে ভক্তদের জন্য সুবিধাজনক করা। তবে, কিছু স্থানীয় বাসিন্দা ও পুরোহিত এই প্রকল্পের বিরোধিতা করেছেন, কারণ তাদের মতে এটি তাদের জীবিকার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।