শ্রী রুদ্রনাথ মন্দিরের দ্বার ১৮ মে খুলছে, পাণ্ডবরা এখানেই পেয়েছিলেন পাপমুক্তি

চামোলি, ১৬ মে: উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার পাহাড়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩,৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত শ্রী রুদ্রনাথ মন্দির, পঞ্চকেদারের অন্যতম পবিত্র তীর্থস্থান। কেদারনাথ যেমন শিবভক্তদের কাছে আস্থার প্রধান কেন্দ্র, তেমনই রুদ্রনাথ মন্দিরও শিবভক্তদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, মহাভারতের যুদ্ধের পর পাণ্ডবরা এখানে এসে কৌরবদের হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন। আগামী ১৮ মে মন্দিরের দ্বার ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে, প্রতিদিন মাত্র ১৪০ জন তীর্থযাত্রী এখানে দর্শন করতে পারেন।
রুদ্রনাথ মন্দির, ভগবান শিবকে উৎসর্গিত, রোডোডেনড্রন বন ও আলপাইন চারণভূমির মাঝে প্রাকৃতিক পাথরে নির্মিত। এটি পঞ্চকেদারের চতুর্থ কেদার হিসেবে পরিচিত। বিশ্বাস করা হয়, পাণ্ডবরা এই মন্দিরে শিবের পূজা করে কৌরব হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পান। মন্দিরের বাইরে বাম দিকে পাণ্ডবদের—যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল, সহদেব—সহ মা কুন্তী, দ্রৌপদী, বনদেবতা ও দেবীদের মূর্তি রয়েছে। ডান দিকে স্থানীয়ভাবে ‘জাখ দেবতা’ নামে পরিচিত যক্ষ দেবতার মন্দির অবস্থিত। এই মন্দিরে শিবের মুখের পূজা করা হয়, যা তাঁর বৃষরূপী অবতারের প্রতীক বলে মনে করা হয়।
পঞ্চকেদারের মধ্যে কেদারনাথ প্রথম, যেখানে শিবের ধড়ের দর্শন হয়। মধ্যমহেশ্বরে শিবের মধ্যভাগ, তুঙ্গনাথে ভুজা, রুদ্রনাথে মুখ এবং কল্পেশ্বরে জটা দর্শনের বিশ্বাস রয়েছে। কেদারনাথ, মধ্যমহেশ্বর ও তুঙ্গনাথ রুদ্রপ্রয়াগ জেলায়, আর রুদ্রনাথ ও কল্পেশ্বর চামোলিতে অবস্থিত। মন্দিরের কাছে পাণ্ডবদের, কুন্তী ও দ্রৌপদীকে উৎসর্গিত ছোট মন্দিরগুলি এর পৌরাণিক গুরুত্ব বাড়ায়। তীর্থযাত্রীদের জন্য এই মন্দির শান্তি ও আধ্যাত্মিক মুক্তির প্রতীক।
দাবি পরিত্যাগ: এই খবরে দেওয়া তথ্য ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে। এর সত্যতা নিশ্চিত করা হয়নি।