বিহারের ভাগলপুরের একটি পরিবার পশুপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পরিবারের সদস্যের মতো পালিত ঘোড়া ‘সাধু সাহব’-এর মৃত্যুতে তারা হিন্দু রীতিনীতি মেনে তাকে চিরবিদায় দিয়েছে। বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই ঘোড়াটির সমাধি তৈরি করা হয়েছে এবং বিধিবদ্ধভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি সভার আয়োজন করা হয়েছে। এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা সকলের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।

ভাগলপুরের ভীখনপুরের বাসিন্দা ডা. জেতা সিং তাঁর প্রিয় ঘোড়া ‘সাধু সাহব’-কে হিন্দু রীতি মেনে বিদায় দিয়েছেন। ঘোড়াটির আত্মার শান্তির জন্য শুধু অনুষ্ঠানই করা হয়নি, বাড়ির মধ্যে তার আস্তাবলের কাছে একটি সমাধিও তৈরি করা হয়েছে। ডা. সিং, যিনি পেশায় চিকিৎসক, প্রায়ই আহত পশু-পাখির চিকিৎসা করে তাদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন। তিনি বলেন, “সাধু সাহব শুধু একটি ঘোড়া নয়, আমাদের পরিবারের সদস্য ছিল। পাটনায় একজনের কাছে আহত অবস্থায় তাকে পেয়েছিলাম। কলকাতার চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তার যত্ন নেওয়া হতো, কিন্তু হয়তো কোথাও ভুল হয়েছে। তার সময় ফুরিয়েছে।” ঘোড়াটির মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে, এমনকি পোষা কুকুরগুলোও খাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।

শ্রদ্ধাঞ্জলি সভায় ডা. সিং-এর পরিবারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কয়েক ডজন পোষা কুকুর, যা সকলকে আবেগাপ্লুত করেছে। ডা. সিং বলেন, “সাধু সাহব-এর স্মৃতি আমরা কখনো ভুলব না। তার জন্য হবন ও প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছি।” ঘোড়াটির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আফতাব আনসারি বলেন, “সাধু সাহব-এর সেবা আমার ধর্ম ছিল। তার চলে যাওয়া আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।” এই ঘটনা পশুপ্রেমের এক অসাধারণ নজির হয়ে থাকবে।