ভারত পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ উন্মোচন করবে, বিদেশে পাঠানো হবে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল

ভারত সরকার পাকিস্তান-প্রায়োজিত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশের অবস্থান আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ধরতে আগামী দিনে বিভিন্ন দেশে বহুদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এই উদ্যোগে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস অংশ নেওয়ার সম্মতি জানিয়েছে। যদিও সরকারের তরফে এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি, কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (যোগাযোগ) জয়রাম রমেশ শুক্রবার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এ বিষয়ে কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রমেশ জোর দিয়ে বলেন, “কংগ্রেস অবশ্যই এই প্রতিনিধিদলের অংশ হবে, কারণ জাতীয় স্বার্থ আমাদের কাছে সর্বোচ্চ।”
জয়রাম রমেশ সামাজিক মাধ্যমে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রথমে পাহালগাম সন্ত্রাসী হামলা ও ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে অস্বীকার করেছেন। ১৯৯৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি সংসদে পাস হওয়া প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করতে বিশেষ অধিবেশনের জন্য কংগ্রেসের দাবিও উপেক্ষা করা হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল ক্রমাগত কংগ্রেসকে হেয় করছে, যদিও কংগ্রেস সবসময় জাতীয় ঐক্য ও নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এখন হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী বিদেশে ভারতের অবস্থান তুলে ধরতে বহুদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা বলছেন। আমরা এতে অংশ নেব, কিন্তু বিজেপির মতো জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে রাজনীতি করব না।”
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহালগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জবাবে ভারত ৭ মে ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে নিখুঁত হামলা চালায়, যা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। পাকিস্তান এরপর সীমান্তে টানা গোলাবর্ষণ ও ড্রোন-মিসাইল হামলার চেষ্টা করে, যা ভারত নস্যাৎ করে দেয়। জবাবে ভারত পাকিস্তানের এয়ারবেসে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। এর মধ্যে উভয় দেশ ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, যা ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখন ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর সাফল্য ও পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ উন্মোচন করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে।