‘বিশ্বের বড়দের’ সামনে মাথা নেড়েছে পাকিস্তান, ১৮ মে পর্যন্ত সিজফায়ার ঘোষণা

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা এবং সীমান্তে সংঘর্ষের মধ্যেই পাকিস্তান হঠাৎ শান্তির পথে এগিয়ে এসেছে। পাকিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার সম্প্রতি ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই আলোচনায় ভারত-পাকিস্তান সিজফায়ার নিয়ে কথা হয়েছে, যা পাকিস্তানের কূটনৈতিক হঠাৎ বদলের একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিবর্তন ভারতের কঠোর সামরিক পদক্ষেপ এবং সীমান্তে উন্নত অস্ত্রের কারণে পাকিস্তানের কৌশলগত অবস্থানের দুর্বলতার ফল। পাকিস্তান ১৮ মে পর্যন্ত সিজফায়ারের ঘোষণা দিয়েছে, যা প্রমাণ করে তারা ‘বিশ্বের বড়দের’ কাছে সাহায্যের হাত বাড়াচ্ছে। কিছুদিন আগেও পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে আগ্রাসী ছিল এবং সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াচ্ছিল, কিন্তু এখন তারা চাপে এসে শান্তিপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
সাক্ষাত্কারে শুধুমাত্র সিজফায়ার নয়, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সহযোগিতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তারা আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ ও সহায়তা খুঁজছে, ফলে ব্রিটেনের মতো দেশগুলোর মন জয় করাই তাদের কূটনীতির প্রধান লক্ষ্য। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, বিশ্ব সম্প্রদায় এই হঠাৎ পরিবর্তনকে বিশ্বাস করবে কি না? পাকিস্তানের শান্তির এই নতুন নীতি কি আসল নাকি কৌশলগত একটি পদক্ষেপ?
স্পষ্ট যে, পাকিস্তান এখন শান্তির পথে আগাচ্ছে, কিন্তু এই পরিবর্তনের স্থায়িত্ব ও সফলতা সময়ই নির্ধারণ করবে।