প্রধানমন্ত্রী মোদী করবেন কর্ণী মাতা মন্দিরে দর্শন: জানুন এই মন্দিরের অনন্য ঐতিহ্য

বিকানের: রাজস্থানের বিকানের জেলার দেশনোক গ্রামে অবস্থিত কর্ণী মাতা মন্দির, যিনি ‘চুহার মাতা’ বা ‘চুহার মন্দির’ নামেও পরিচিত, দেবী দুর্গার অবতার হিসেবে পূজিত হন। এই মন্দিরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হলো এখানে প্রায় ২৫,০০০ কালো চুহা অবাধে বিচরণ করে, যাদের ‘কাবা’ বলা হয়। ভক্তরা এই চুহাদের প্রসাদ খাওয়ান এবং যদি কোনো চুহা তাঁদের খাবার স্পর্শ করে বা খায়, তবে তা শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
ঐতিহ্য অনুসারে, এই চুহারা সাধারণ প্রাণী নয়, বরং কর্ণী মাতার বংশধর ও অনুসারীদের পুনর্জন্ম বলে মনে করা হয়। একটি প্রাচীন কাহিনি অনুযায়ী, কর্ণী মাতার সৎপুত্র লক্ষ্মণের মৃত্যুর পর তিনি যমরাজের কাছে তার পুনর্জন্মের প্রার্থনা করেন। যমরাজ তাকে চুহার রূপে পুনর্জন্মের অনুমতি দেন, এবং তখন থেকে এই মন্দিরে চুহাদের বসবাসের ঐতিহ্য চলে আসছে। মন্দিরে কিছু দুর্লভ সাদা চুহাও দেখা যায়, যাদের কর্ণী মাতার প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সাদা চুহার দর্শন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয় এবং ভক্তরা বিশ্বাস করেন, এর দর্শন পেলে তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগামী ২২ মে বিকানেরের এই কর্ণী মাতা মন্দিরে দর্শন করবেন, সঙ্গে থাকবেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা। এই সফর শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না, বরং রাজস্থানের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকেও বিশ্বের সামনে তুলে ধরবে।
মন্দিরটি কেবল ধর্মীয় স্থান নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক ও পর্যটন কেন্দ্রও। রাজস্থানী স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত এই মন্দিরে রুপোর দরজা ও সুন্দর মার্বেল কারুকার্য রয়েছে, যা দেবী-দেবতা ও পৌরাণিক কাহিনির চিত্র ফুটিয়ে তুলেছে। প্রতিদিন এখানে একাধিকবার আরতি ও ভজন অনুষ্ঠিত হয়, যাতে হাজার হাজার ভক্ত অংশ নেন। কর্ণী মাতা মন্দির দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে এক অনন্য অভিজ্ঞতার গন্তব্য হিসেবে বিখ্যাত।