গুলজার ও রামভদ্রাচার্যের কলমে জ্ঞানপীঠের সোনালি ছোঁয়া!

গুলজার ও রামভদ্রাচার্যের কলমে জ্ঞানপীঠের সোনালি ছোঁয়া!

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু শুক্রবার প্রখ্যাত কবি-গীতিকার গুলজার এবং সংস্কৃত পণ্ডিত জগদগুরু রামভদ্রাচার্যকে ২০২৩ সালের ৫৮তম জ্ঞানপীঠ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন। গুলজার, যিনি সম্পূরণ সিং কালরা নামে পরিচিত, উর্দু কবিতা ও হিন্দি সিনেমার গানের জন্য বিখ্যাত। স্বাস্থ্যগত কারণে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি, তবে রাষ্ট্রপতি তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। অন্যদিকে, ৭৫ বছর বয়সী রামভদ্রাচার্য, চিত্রকূটের তুলসীপীঠের প্রতিষ্ঠাতা, ২৪০টিরও বেশি গ্রন্থ রচনা করেছেন, যার মধ্যে চারটি মহাকাব্য রয়েছে। তাঁকে প্রশংসাপত্র, নগদ পুরস্কার ও দেবী সরস্বতীর ব্রোঞ্জ মূর্তি প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি রামভদ্রাচার্যের শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সাহিত্য ও সমাজে অসাধারণ অবদানের প্রশংসা করেন, বিশেষত পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ও উপনিষদের উপর তাঁর বক্তৃতার।

গুলজারের কবিতা ও গান জীবনের গভীর বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটায়। ‘ম্যায় তেরে লিয়ে’ (আনন্দ), ‘দিল ধুন্দতা হ্যায়’ (মৌসম) এবং ‘জয় হো’ (স্লামডগ মিলিওনেয়ার)-এর মতো কালজয়ী সৃষ্টির জন্য তিনি একাডেমি, গ্র্যামি, দাদাসাহেব ফালকে ও পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত। অন্যদিকে, রামভদ্রাচার্য পাঁচ বছর বয়সে ভগবদ গীতা ও সাত বছরে রামচরিতমানস অধ্যয়ন শুরু করেন। সংস্কৃত ভাষায় তাঁর দক্ষতা তাঁকে স্বর্ণপদক এনে দেয়। ২০০৫ সালে সাহিত্য আকাদেমি ও ২০১৫ সালে পদ্মবিভূষণ পুরস্কার তাঁর অবদানের স্বীকৃতি। এই পুরস্কার ভারতীয় সাহিত্যের সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে উদযাপন করে, যেখানে ফিরাক গোরখপুরি, আশাপূর্ণা দেবীদের মতো মহারথীরা পূর্বে সম্মানিত হয়েছেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *