আইএমএফের ঋণে পাকিস্তানের লজ্জাজনক কাণ্ড: শেহবাজ সরকারের আতঙ্কীদের কোটিপতি বানানোর পরিকল্পনা

আইএমএফের ঋণে পাকিস্তানের লজ্জাজনক কাণ্ড: শেহবাজ সরকারের আতঙ্কীদের কোটিপতি বানানোর পরিকল্পনা

ইসলামাবাদ, ১৭ মে ২০২৫: পাহলগামে ২৬ জন নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে পাকিস্তানের আতঙ্কী ঘাঁটিগুলো ধ্বংস করা হয়, যাতে প্রায় ১০০ জন আতঙ্কী নিহত হয়। কিন্তু এই কঠোর পদক্ষেপের পরেও পাকিস্তানের বেহায়াপনা চরমে। আর্থিক সংকটে জর্জরিত এই দেশ, যারা আইএমএফের কাছে ঋণের জন্য হাত পাতে, তারা নিহত আতঙ্কীদের ‘শহীদ’ ঘোষণা করে তাদের পরিবারকে কোটি টাকার মুআবজা দিচ্ছে।
পাকিস্তানি মিডিয়া এআরওয়াই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, শেহবাজ শরিফ সরকার নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি পাকিস্তানি রুপি এবং আহতদের ১০ লাখ রুপির মুআবজা দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই টাকা আইএমএফের সাম্প্রতিক ১ বিলিয়ন ডলারের বেলআউট প্যাকেজ থেকে ব্যয় করা হচ্ছে, যা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য দেওয়া হয়েছিল। ভারত এই ঋণের বিরোধিতা করেছিল, সতর্ক করে বলেছিল যে এই তহবিল সামরিক বা আতঙ্কী কার্যকলাপে ব্যবহৃত হতে পারে।

সিন্ধের মুখ্যমন্ত্রী সৈয়দ মুরাদ আলি শাহ দাবি করেছেন, ভারতের হামলায় সাতজন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে ছয়জন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সদস্য। কিন্তু ভারত স্পষ্ট করেছে, হামলা শুধুমাত্র লস্কর-ই-তৈয়বা, জৈশ-ই-মোহাম্মদের মতো আতঙ্কী সংগঠনের ঘাঁটিতে হয়েছে। পাকিস্তানের এই মিথ্যা প্রচার তাদের ব্যর্থতা ঢাকতে এবং আতঙ্কীদের ‘শহীদ’ তকমা দিয়ে জনমত তৈরির চেষ্টা।

এটি প্রথম নয় যে পাকিস্তান আইএমএফের তহবিলের অপব্যবহার করছে। এর আগেও শেহবাজ সরকার ঋণের টাকায় মন্ত্রীদের বেতন ১৮৮% বাড়িয়েছে, যখন সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতি, করভার আর বেকারত্বে জর্জরিত। একজন মন্ত্রী এখন মাসে ৫.১৯ লাখ রুপি পান। এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করে, শেহবাজ সরকারের অগ্রাধিকার জনকল্যাণ নয়, বরং আতঙ্কী ও নেতাদের পকেট ভরা।
এই কাণ্ডে বড় প্রশ্ন উঠছে: যে দেশে সাধারণ মানুষের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ, খাদ্য নিশ্চিত নয়, সেখানে কেন আতঙ্কীদের জন্য কোটি কোটি টাকা বিলানো হচ্ছে? আইএমএফের ঋণ জনগণের জীবনমান উন্নত করার পরিবর্তে পাকিস্তানকে আরও ধ্বংসের দিকে ঠেলছে। শেহবাজের এই নীতি শুধু আন্তর্জাতিক বিশ্বাসঘাতকতাই নয়, পাকিস্তানের ভবিষ্যৎকেও বিপন্ন করছে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *